পরিস্থিতির সাথে মোকাবেলা করা যায় কিন্তু ভাগ্যের সাথে নয়।
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।
প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, পরিস্থিতির সাথে মোকাবেলা করা যায় কিন্তু ভাগ্যের সাথে নয়। এই বিষয় সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
আসুন শুরু করি
প্রত্যেক মানুষ কোন না কোন কঠিন পরিচিতি মোকাবেলা করে জীবনকে টিকিয়ে রাখে। জন্মের পর থেকে প্রত্যেক মানুষ কোন না কোন কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করে এবং প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জীবনকে এগিয়ে যায়। মানুষের জীবনের প্রতিটি বাঁকে বাঁকে কঠিন পরিস্থিতি সম্মুখীন হতে হয়। যে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারে সেই জীবন যুদ্ধে জয়ী। মানুষের জীবন একটাই। এই এক জীবনের মানুষ, জীবন টিকিয়ে রাখতে হলে কত কিছুই না করতে হয়। মানুষ প্রতিনিয়ত জীবন যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে থাকে। জীবন যুদ্ধে মানুষ তার জ্ঞান, অধ্যবসায়, পরিশ্রম এবং সৌভাগ্যের জন্য জয়ী হয়ে থাকে।
আবার কিছু মানুষ জীবন যুদ্ধে হেরে যায় অধ্যবসায়, কঠিন পরিশ্রম করার সত্ত্বেও শুধুমাত্র দুর্ভাগ্যের কারণে। ভাগ্যের ব্যাপারটা অনেকেই বিশ্বাস করে আবার অনেক অবিশ্বাস করে থাকে। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো ভাগ্য পরোক্ষভাবে মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করে। ভাগ্য শব্দের ইংরেজি অর্থ হলো লাকি আর আরবি অর্থ হলো তকদির। ভাগ্যের বিষয়টা সৃষ্টিকর্তার হাতে নিয়ন্ত্রিত। আসলে ভাগ্য বিষয়টা খুবই অদ্ভুত এবং রহস্যময়। মানুষ চাইলে তার ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে না শুধু মানুষ তার ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য চেষ্টা করতে পারে। ভাগ্যের বিষয়টা যেহেতু সৃষ্টিকর্তার হাতে নিয়ন্ত্রিত।
তাই মানুষ হাজার পরিশ্রম করেও সফল হতে পারে না যদি তার ভাগ্যে সফলতা না থাকে। আবার অনেকে খুব অল্প পরিশ্রম করে সফলতার দেখা পেয়ে যায় যদি তার ভাগ্য ভালো হয়। তাই বলা হয় ভাগ্যের লিখন না যায় খন্ডন। ভাগ্যের বিষয়টা মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আসলে মানুষের ভাগ্য কখন কোন দিকে যায় বা, কিভাবে পরিবর্তন হয় তা কেউ বলতে পারে না। মানুষ তার ভাগ্যের সম্পর্কে অবগত থাকে না। কাজের সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান এবং কঠিন পরিশ্রম করা সত্ত্বেও শুধুমাত্র দুর্ভাগ্যের কারণে সফল হতে পারে না। অনেকে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সফল হতে পারে না আবার অনেকে সুযোগ না থাকর সত্বেও সফল হয়ে যায় প্রকৃতির নিয়মে।
আমাদের সমাজে প্রায় সময় দেখা যায় শুধু মানুষ তার জীবন যুদ্ধে হেরে যায় দুর্ভাগ্যের কারণে। সৌভাগ্য মানুষকে সফলতার দিকে নিয়ে যায়। আর দুর্ভাগ্য মানুষকে পরাজয়ের দিকে ধাবিত করে। মানুষ দৃঢ় সংকল্প অধ্যবসায়ের মাধ্যমে কঠিন পরিশ্রম করে যায় কিন্তু কেউ বলতে পারে সেই শতভাগ সফল হবে। কারণ সফল হওয়াটা ভাগ্যের উপর নির্ভরশীল। ভাগ্যের বিষয়টা যেহেতু সৃষ্টিকর্তার হাতে নিয়ন্ত্রিত তাই আমাদের এই বিষয়ে গভীর চিন্তাভাবনা না করে শুধু সফল হওয়ার জন্য সঠিক সময়ে কঠিন পরিশ্রম করে যেতে হবে। মানুষের জীবনের পরিস্থিতি যাই হোক না কেন? মানুষ কোন না কোন ভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারে। মানুষ পরিস্থিতি মোকাবেলা জন্য চেষ্টা করে যায়।
কিন্তু ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য চেষ্টা করা যায় না। মানুষ চেষ্টা করে পরিস্থিতি পরিবর্তন করে থাকে কিন্তু মানুষ চেষ্টা করেও ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারে না। ভাগ্যে যায় আছে তাই হয়ে থাকে।
পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি অন্য কোন বিষয় উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।
অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন । এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
https://twitter.com/MdAgim17/status/1792206067541402041?t=D41MKA2yov2zm3uJtkFB9g&s=19
জীবন মানেই যুদ্ধ। জীবনে চলার পথে অনেক ভালো-মন্দ আসবে এবং সেটাকে কনভার্ট করে নিজের সফলতার শেষে পৌঁছানোটাই হল জীবনের একটা বড় যুদ্ধ। যেকোনো পরিস্থিতিতে আপনার মোকাবেলা করতে পারবেন কিন্তু আপনার ভাগ্যে যেটা লেখা আছে সেটা ঘটবেই তার পরিবর্তন করতে পারবেন না। কারণ ভাগ্যটা আমার আপনার হাতে নেই ভাগ্যটা রয়েছে সৃষ্টিকর্তার হাতে। বেশ সুন্দর লিখেছেন ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
এত সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম ঠিক বলছেন আপনি কিছু কিছু পরিস্থিতি আমাদেরকে সামনা সামনি মোকাবেলা করতে হয়। যদিও আমরা পরিস্থিতি মোকাবেলা করি সেগুলোকে আমরা অন্যরকম সামলে নিতে পারি। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে আমরা কঠোর পরিশ্রম করার পরেও আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন হয় না। এক্ষেত্রে আমাদের কোন হাত থাকে না একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানেন। তারপরও আমাদেরকে পরিশ্রম করে যেতে হবে। পরিশ্রম কখন কোথায় লেগে যায় সেটা ভাগ্যের ব্যাপার।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে এত দুর্দান্ত অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
জীবন যতক্ষন আছে ততক্ষণ নানা পরিস্থিতিতে আমাদের পরতে হয়।কিন্তু কঠিন এই পরিস্থিতিতে কঠোর পরিশ্রম করলেই সফল হবো এমনটা আসলে ভাবা ঠিক নয়,যদি আমাদের ভাগ্যে না থাকে।তারপরেও আমরা পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে কঠোর পরিশ্রম করে যাই।চমৎকার একটি বিষয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনার মন্তব্য পড়ে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আসলে আমরা অনেক সময় অনেক পরিশ্রম করে থাকি কিন্তু শেষ পর্যন্ত সফলতা আসেনা। তখন আমরা বলি নিশ্চয়ই এটা ভাগ্যে ছিল না বলেই হলো না। আসলে ভাগ্য জিনিসটা এমন যেটা আল্লাহ তায়ালা নিয়ন্ত্রণ করেন। আর তার জন্যই মূলত এরকমটা হয়ে থাকে কারণ কোনটা আমার জন্য কল্যাণকর সেটা হয়তো আমি জানিনা কিন্তু আল্লাহ তায়ালা তো সবই জানেন। তবে ভাগ্য যে একদমই পরিবর্তন করা যায় না তা কিন্তু নয় দোয়ার মাধ্যমেও ভাগ্য পরিবর্তন হয়ে থাকে। তবে সেই দোয়াটা হতে হবে দোয়ার মত। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি ঠিক বলেছেন, সৃষ্টিকর্তা চাইলে আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
অনেক সময় আমরা জীবন যুদ্ধে হার মেনে যাই। হয়তো হাজার পরিশ্রম করেও সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি না। ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়। ভাই আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো। দোয়া করি আমাদের সবার জীবনের সব হতাশা যেন দূর হয়ে যায়।
আপনি ঠিক বলেছেন আপু, ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের কারণে পরিশ্রম করেও সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি না। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আপনার লেখা সব সময় আমার অনেক ভালো লাগে। আপনার লেখাগুলো অনেক গভীরতা থাকে। যার কারনে সব সময় চেষ্টা করি আপনার লেখাগুলো পড়ার জন্য। পরিস্থিতির সাথে মোকাবেলা করা যায় কিন্তু ভাগ্যের সাথে নয় তা শতভাগ সত্য বলেছেন
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই, সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করে পাশে থাকার জন্য।
অনেক সুন্দর কিছু কথা তুলে ধরে আজকের পোষ্ট সাজিয়েছেন ভাইয়া। আসলে ঠিক বলেছেন ভাগ্যের বেশি কিছু হয় না। সত্যি কথা ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়।অনেকেই আছে অল্প পরিশ্রম করে সফলতা অর্জন করতে পারে আবার অনেকে আছে হার ভাঙ্গা পরিশ্রম করেও সফলতার দ্বারে পৌঁছাতে পারেন আসলে সবেই মানুষের ভাগ্যের নির্মম পরিহাস । ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কিছু কথা তুলে ধরে আজকের পোষ্টটি আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
ভাগ্য বিষয় টি অনেকে মানেন, অনেকেই আবার মানেন না। তবে আমি মানি। আমিও বিশ্বাস করি ভাগ্য বলেও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে৷ আপনি সঠিক কথা বলেছেন, ভাগ্য যেহেতু সৃষ্টিকর্তার হাতে, তাই সেটা নিয়ে অধিক না ভেবে বরং সঠিক সময়ে সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাওয়াটাই উচিত। আর ভাগ্যের বিষয় টি সৃষ্টিকর্তার কাছে চাওয়া যেতে পারে।
এতো চমৎকার অনুভূতি শেয়ার করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আমার মতে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ভাগ্য পরিবর্তন করা যায়। হয়তোবা অনেকে এটা নিয়ে দ্বিমত পোষণ করতে পারে। যাইহোক ভাগ্য বলতে অবশ্যই কিছু আছে এবং ভাগ্যকে বিশ্বাস করতে হবে। তবে শুধুমাত্র ভাগ্যের দোহাই দিয়ে বসে থাকলে চলবে না। বরং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ভাগ্যকে পরিবর্তন করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে বলেছেন, তোমরা চেষ্টা করে যাও এবং ফলাফলের জন্য আমার কাছে প্রার্থনা করো। তাহলে আমি অবশ্যই উত্তম প্রতিদান দিবো। তবে অনেক সময় কঠোর পরিশ্রম করার পরেও কিছু জিনিস আমাদের হাতছাড়া হয়ে যায়। তখন বুঝতে হবে যে সেটা আমার ভাগ্যে ছিলো না। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটি পড়ে আপনার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।