অবশেষে জয় পেল বাংলাদেশ।
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন ? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন । আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি ।
প্রিয় , আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, এশিয়া কাপের ভারত বাংলাদেশের ম্যাচটি দেখার অনুভূতি সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
আসুন শুরু করি
আমি ফুটবল খেলা থেকে ক্রিকেট খেলাকে খুব বেশি ভালবাসি। আর তা যদি বাংলাদেশের খেলা হয় তাহলে তো উৎসাহ উদ্দীপনার শেষ থাকে না। গত কয়েক ম্যাচে বাংলাদেশ খুব বাজে ভাবে হেরেছে। বাংলাদেশের খেলা দেখার প্রতি একটু বিরূপ প্রবাহ পড়েছে। তারপরেও নিজের দেশের খেলা তাই খেলা দেখতে বসে গেলাম। আমি পুরো খেলায় দেখছি তবে কোন স্ক্রিনশট নিয়ে নি কারণ বাংলাদেশ জিতবে এইটা আসলে কল্পনা করি নি। ভারত হচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বের পরাশক্তি। ভারতের ব্যাটিং লাইনে সারা বিশ্বের সেরা। তাদের ব্যাটিং এবং বোলিং এর কারণে ম্যাচের প্রতি মুহূর্তে খুবই উত্তেজনা এবং টান টান পূর্ণ হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ যেভাবে পাকিস্তান এবং শ্রীলংকার সাথে হেরেছে তাতে করে ভারতের সাথে ম্যাচ জিতবে এটা কল্পনা করাটা বোকামি। যাহোক মূল কথায় আসি ভারত প্রথমে ফিল্ডিং করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে। মোহাম্মদ সামি ৫ রান দিয়ে প্রথম ওভার শেষ করেছে। তারপরে বাংলাদেশের ব্যর্থতা শুরু। আসলে বাংলাদেশের ওপেনিং এতটা দুর্বল যা দেখে সত্যি খুব কষ্ট লাগে। লিটন কুমার দাস কোন রান করা ছাড়াই আউট হয়ে গেল। আর এনামুল হক বিজয় মাত্র চার রান করে আউট হয়ে গেলো। ওপেনিং এই দুরবস্থা তাতে করে ভেবেছি বাংলাদেশ হয়তো ১৫০ থেকে ১৬০ রানের মধ্যে অলআউট হয়ে যাবে। তারপর তরুণ খেলোয়াড় তৌহিদ হৃদয় রানের চাকা সচল করার চেষ্টা করে।
বাংলাদেশ দলকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসান চেষ্টা চালিয়ে গেলো। ৮৫ বলে ৮০ রান করলো। শাকিবের ৮০ রানের উপর নির্ভর করে বাংলাদেশ সম্মানজনক রানের দিকে এগিয়ে গেলো। শাকিব সেঞ্চুরি করতে পারলে ভালো হতো। অন্যান্যরা যদি আরো একটু দেখে শুনে খেলতেও তাহলে দল আরো কিছুটা এগিয়ে যেতে পারতো। তৌহিদ হৃদয় বেশ ভালোই খেলা বলা যেতে পারে।এনামুল হক বিজয়ের সামনে বেশ সুযোগ ছিল নিজেকে তুলে ধরার জন্য এই ম্যাচে কিন্তু সে ব্যর্থতার প্রমাণ দিয়েছে। ৫৪ রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে হৃদয়।
তৌহিদ হৃদয় যখন আউট হয়ে গেলো তখন ভাবছি হয়তো আর কিছু রান করে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে যাবে। নাসিমের খেলা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ৪৫ বলে ৪০ রানের দারুন একটা ইনিংস খেলেছিল। নাসিমের ৪০ রানের উপর নির্ভর করে বাংলাদেশ ২৬৫ রান করতে সক্ষম হয়েছে। অবশেষে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ২৬৫ রান করতে সক্ষম হয়। ভারতের জন্য ২৬৫ রানের টার্গেট তেমন বেশি কিছু না। কারণ তাদের বিশ্বমানের ব্যাটিং লাইনে আপ রয়েছে। বিরাট কোহলি সহ আরেক জন খেলোয়াড় যদিও বিশ্রামে ছিলো তবে তাদের ব্যাটিং লাইন আপ খুবই দুর্দান্ত।
রোহিত শর্মা যখন শূন্য রানে আউট হয়ে গেল তখন খুব ভালো লাগলো। তানজিম সাকিবের বলে আউট হয় রোহিত শর্মা। তানজিম সাকিব খুবই ভালো বল করেছে। এরপর কে এল রাহুল আউট হওয়ার পরে বাংলাদেশ দলের কিছুটা স্বস্তি এলো। তবে বাংলাদেশের বোলারদের বিরুদ্ধে পাহাড় হয়ে দাঁড়ায় শুভমান গিল। একপাশের উইকেট আগলে রেখে বেশ চমৎকার খেলেছে। সে যখন সেঞ্চুরি করেছে তখনতো ভাবছি বাংলাদেশ দল হেরে গিয়েছে কারণ যে কোন খেলোয়াড় সেঞ্চুরি করার পরে আরো ভয়ানক হয়ে উঠে। ১২১ রান কর সাজঘরে ফেরে শুভমান গিল। শুভমান গিল সত্যিই বেশ দুর্দান্ত খেলেছে।
শুভমান গিল আউট হওয়ার পর তাদের বিপর্যয় আরো ঘণীভূত হয়। তারপর এক্সার পাটেল রান তোলার চেষ্টা করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়ে ৪২ রান করে সাজঘরে যায়। তারপর আর কেউ সুবিধাজনক রান করতে পারে নি। বাংলাদেশ বেশ নিয়ন্ত্রণ বল করতে সক্ষম হয়। শেষের দিকে মোস্তাফিজুর রহমান বেশ দুর্দান্ত বল করেছে। ভারত অনেক চেষ্টা করেও জয়ের বন্ধরে পৌঁছাতে পারে নি। অবশেষে খুবই টানটান উত্তেজনা ম্যাচে ৬ রানে জয় পায় বাংলাদেশ।
আসলে ভারতের শেষ উইকেট না পড়া পর্যন্ত বলা যেত না বাংলাদেশ ম্যাচটি জিতবে। অবশেষে বাংলাদেশ দল কাঙ্খিত জয় তুলে নিলো। ম্যাচটি দেখে আমার কাছে খুব ভালো লাগলো । ম্যাচের প্রতিটি মুহূর্ত খুব চমৎকার উপভোগ করেছি। বাংলাদেশ দলের জন্য শুভকামনা রইলো।
পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি অন্য কোন বিষয় আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।
অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন ।এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো ।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/MdAgim17/status/1703236885798351178?t=AexGQIv-wqb5i0c9KXkD0g&s=19
কেন জানিনা ভাই আমার সাকিবের ঐ ইনিংস খেলার পর থেকেই মনে হয়েছে আজ জিতব।তবে যে এত থ্রিলিং হবে ভাবি নি। শেষ ওভারে হার্টবিট এত বেড়ে গিয়েছিল মনে হচ্ছিল হার্ট বেরিয়ে আসবে৷ এই জয়টা দরকার ছিল মনোবল বাড়ানোর জন্য।সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই, সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
ম্যাচটি জেতার পেছনে নাসুম আহমেদ এর এর তুলনা নেই।সে লাস্ট ফিনিশিং টা যেভাবে দিয়েছে ঠিক আমরা এমনি আশা করি।কারণ বরাবর আমরা লাস্ট ফিনিশিং এ এসে আটকে যায়।যাইহোক শেষ মেস যিতে বাড়ি ফেরা হলো।
জি ভাই নাসুম আহমেদ খুব ভালো ভালো খেলেছে। মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
এশিয়া কাপের প্রতিটা ম্যাচেই বাংলাদেশের ওপেনাররা ব্যর্থ হয়েছে। হ্যাঁ এটা স্বাভাবিক শ্রীলংকা আর পাকিস্তানের সাথে যেভাবে বাংলাদেশ ম্যাচ হেরেছে তাতে ভারতের সাথে ম্যাচ জেতার কল্পনা করা সেটা বোকামি। তবে ম্যাচটা বেশ জমে গিয়েছিল মোস্তাফিজুরের ওভারটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট ছিল।
মোস্তাফিজুরের ওভারটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট ছিলো ভাই, আপনি ঠিক বলেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
এশিয়া কাপের পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে লিটন কুমার দাস অনেক খারাপ খেলেছে। আমাদের বাংলাদেশের আগেকার ওপেনিং জুটি তামিম ইকবাল আর ইমরুল কায়েস এই জুটিটাকে আমি খুব মিস করি। যাইহোক বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ভারতের বিপক্ষে ছয় রানে জয় পেয়েছে এটাই আমাদের জন্য অনেক।
লিটন খুবই খারাপ খেলেছে যা আসলে খুবই দুঃখজনক। মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আগে খেলা হলে দেখতে বসে যেতাম। এখন তেমন একটা দেখা হয় না সময়ের অভাবে। তারপরও হাজবেন্ড দেখার জন্য মাঝেমধ্যে বসা হয়। সেদিনের খেলাটা দেখে আসলেই খুব ভালো লেগেছিল। শেষের মুহূর্তটা একেবারে টানটান উত্তেজনায় কেটেছিল। শেষ উইকেটটা পড়াতে কি যে আনন্দ লেগেছিল বোঝাতে পারবো না। যাই হোক অনুভূতিটা আপনি খুব সুন্দর ভাবে প্রকাশ করেছেন। মনে হল আবারও সেই বিজয়ের মুহূর্তে ফিরে গিয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটি দেখে খুব চমৎকার অনুভূতি শেয়ার করেছেন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য।
এবারে এশিয়া কাপ নিয়ে বাংলাদেশের যথেষ্ট সম্ভাবনাময় আশা করেছিল সবাই। কিন্তু তারা পুরো জাতিকে হতাশা করেছে। আগে থেকেই তারা ছিটকে গেছে তবে শেষ ম্যাচে ভারতকে হারিয়েছে। তবে ভারতকে হারিয়ে এখানে মূল্যবান কিছু করতে পেরেছে তা আমি বলবো না। যদি এশিয়া কাপে ফাইনাল খেলতো তাহলে বলতে পারতাম তারা কিছু অর্জন করেছে।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।