মিষ্টি কুমড়ার চাষ পদ্ধতি।

বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম

আসসালামু আলাইকুম

শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন ? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন । আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি ।

প্রিয় , আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম।আজ আমি আপনাদের, মিষ্টি কুমড়ার চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।

আসুন শুরু করি

মিষ্টি কুমড়া আমাদের সকলের অতি পরিচিত সবজি। মিষ্টি কুমড়াকে অনেকে মিষ্টি লাউ বলে থাকে। কুমড়া অনেক জাত রয়েছে তার মধ্যে মিষ্টি কুমড়া অন্যতম। মিষ্টি কুমড়া সাধারণত শীতকালীন সবজি তবে বারো মাসি মিষ্টি কুমড়া চাষ করলে সারা বছর পাওয়া যায়। আমাদের দেশে মিষ্টি কুমড়া ব্যাপক ভাবে চাষাবাদ করা হয়। মিষ্টি কুমড়া কাঁচা অবস্থায় উপরে সবুজ এবং ভিতরে অংশ হলুদ বর্ণ হয়ে থাকে। মিষ্টি কুমড়া পাকলে উভয় অংশ হলুদ বর্ণ হয়ে থাকে। মিষ্টি কুমড়া শাক রান্না করে বা, ভাজি করে খাওয়া যায়। ছোট চিংড়ি শুটকি দিয়ে বা, মসুরের ডাল দিয়ে রান্না করলে খেতে বেশ মজা। মিষ্টি কুমড়া শাকের অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে।

মানবদেহের জন্য মিষ্টি কুমড়া অনেক উপকারী। মিষ্টি কুমড়াতে অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে । এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, এবং ভিটামিন সি পাওয়া যায়। তা ছাড়া ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম, ফসফরাস, জিংক সহ অন্যান্য আরো সকল উপাদান বিদ্যমান। মিষ্টি কুমড়া খুবই সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুনে ভরপুর। মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে মিষ্টি কুমড়া গুরুত্ব অপরিসীম। মিষ্টি কুমড়াতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকায় সর্দি-কাশি সহ অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম।

প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ:-

১ - জমি
২ - বীজ
৩ -কোদাল
৪ -রাসায়নিক সার ( ইউরিয়া, টিএসপি,এমপি বা পটাশ, ফসফেট সার।
৫ -জৈব সার ( গরুর গোবর, হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা, তরু তরকারী কাটার পর অবশিষ্ট অংশ, ছাই ।

৬ -লাঠি (মাটির বড় অংশ ভাঙ্গার জন্য)।
৮ -পানি
৭ -বালতি, জগ ইত্যাদি।

মিষ্টি কুমড়ার চাষ যেভাবে করছি :-

↘️ধাপ :- ১↙️

• মিষ্টি কুমড়ার চাষ করার জন্য আমি জমি নির্বাচন করবো। মিষ্টি কুমড়ার বীজ লাগানোর জন্য চার মোয়া তৈরি করে নেবো। প্রথমে কোদাল দিয়ে মাটি কেটে নিলাম। তারপর লাঠি দিয়ে মাটি ভেঙ্গে ঝুরঝরা করে নিলাম।

↘️ধাপ :- ২↙️

• মোয়া তৈরি তৈরি করার পর এখন জৈব সার ( গরুর গোবর, হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা, তরু তরকারী কাটার পর অবশিষ্ট অংশ, ছাই) প্রয়োগ করবো। আমি পরিমাণ মতো জৈব সার জমিতে দিলাম।

↘️ধাপ :- ৩↙️

• এই পর্যায়ে আমি পরিমাণ মতো রাসায়নিক সার ( ইউরিয়া, টিএসপি,এমপি বা পটাশ, ফসফেট সার জমিতে প্রয়োগ করেছি।

↘️ধাপ :- ৪↙️

এখন মিষ্টি কুমড়ার বীজ বপন করার পালা। প্রথমে আমি বীজ ১২ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখলাম। বীজ পানিতে ভিজিয়ে রাখলে দ্রুত অঙ্কুরদম হয়ে থাকে।

↘️ধাপ :- ৫↙️

• এখন আমি কুমড়ার বীজ সুন্দর করে মাটিতে বোপন করে দিলাম।

↘️ধাপ :- ৬↙️

কুমড়ার বীজ বোপনের ৭থেকে ৮ দিন পর কুমড়া চারা উঠলো। কুমড়ার চারা দেখে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো।

↘️ সর্বশেষ ধাপ :- ↙️

কুমড়ার চারা উঠার কয়দিন পর থেকে আমি নিয়মিত কুমড়ার গাছে পানি দিতেছি। আর দুই সপ্তাহ পরে কুমড়ার গাছে ফুল ফুটবে এবং কুমড়ার ধরবে। কুমড়া গাছে ফুল আসলে দ্বিতীয়বার সার প্রয়োগ করতে হবে।

পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।

পোস্ট বিবরণ :-

শ্রেণী	শাক সবজি চাষ
ক্যামেরা	Redmi note 7
পোস্ট তৈরি	@ah-agim
লোকেশন	ফেনী, বাংলাদেশ

এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি কৃষি সম্পর্কিত অন্য কোন বিষয় উপস্থাপন করবো ইনশাআল্লাহ।

• অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন ।এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।

সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো ।

আমার পরিচিতি

আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে - আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলা এর প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানীত এডমিন মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে।বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।