চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে কাটানো কিছু মুহূর্ত / দ্বিতীয় পর্ব।
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।
প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে কাটানো কিছু মুহূর্ত সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
আসুন শুরু করি
আমি গত পর্বে আপনাদের মাঝে চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে কাটানো কিছু মুহূর্তের প্রথম পর্ব উপস্থাপন করেছি। আজ দ্বিতীয় পর্ব উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। আমরা সবাই রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে রেস্টুরেন্টে কিছুক্ষণ সময় বসে সবাই মিলে গল্প করলাম। গল্প করা শেষে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের হকার্স মার্কেটের দিকে রওনা হলাম। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের হকার্স মার্কেটটি অনেক বড়। হকার্স মার্কেটটি সমুদ্র সৈকতের রাস্তার বিপরীত পাশে অবস্থিত। এখানে সব ধরনের জিনিস পত্র পাওয়া যায়। বিশেষ করে মেয়েদের বিভিন্ন রকম প্রসাধনী, সাজগোজের নানা রকম পুঁতি ঝিনুকের জিনিসপত্র, বিভিন্ন ধরনের আচার, খাবারের দোকান এবং হরেক রকম শুটকি দোকান পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের পাড়ে বেশ কিছু বিভিন্ন রকমের দোকান রয়েছে। তবে সমুদ্রের পাড়ের দোকান গুলো হচ্ছে অস্থায়ী আর এখানে হকার্স মার্কেটের দোকান গুলো হচ্ছে স্থায়ী। আমরা যখন পড়ন্ত বিকেলে হকার্স মার্কেটে গিয়েছি তখন বেশ লোকসমাগম ছিলো মার্কেটের মধ্যে। ক্রেতা সাধারণ এবং অনেক দর্শনার্থী ছিলো। আজ আমি আপনাদের মেয়েদের বিভিন্ন রকম প্রসাধনী, সাজগোজের নানা রকম পুঁতি ঝিনুকের জিনিসপত্রের দোকানে কাটানো কিছু অনুভূতি শেয়ার করবো। আসলে কোথায় ঘুরতে গেলে বাড়ির নিজের বোন ,ভাগ্নি, চাচাতো বোন, জেঠাতো বোন সবাই অনেক কিছু নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে।
বিশেষ করে কানের দুল, গলার মালা, মাথার কিলিপি মাথার চুল বাঁধান কাঁকড়া, হাতের চুড়ি নানা রকম জিনিসপত্র নিলে ছোট বোনেরা বেশ খুশি হয়। এজন্য আমরা প্রথমে আমাদের ছোট বোনদের আবদার রাখার জন্য আমরা সবাই মেয়েদের সাজগোজের নানা রকম পুঁতি ঝিনুকে দোকানে চলে গেলাম। সমুদ্র পাড়ের দোকান গুলোতে ঝিনুকের নানা রকম জিনিসপত্র পাওয়া যায়। এগুলো দেখতে খুবই সুন্দর। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে শামুক-ঝিনুকের তৈরি বাহারি পণ্য দেখে খুব ভালো লাগলো। দোকান গুলোর প্রধান আকর্ষণ ছিলো শামুক-ঝিনুকের তৈরি বিভিন্ন রকমের পণ্য।
যার মধ্যে রয়েছে গলার মালা, কানের দুল, হাতের বালা বা, ছড়ি, আয়নাসহ ঘর সাজানোর আরও অনেক কিছু। বিভিন্ন রকম ঝিনুকের মালা এবং কানের দুল দেখতে খুবই সুন্দর ছিলো। সাধারণত ঝিনুকের মালার দাম পড়বে ১০০ থেকে ২০০ টাকা। আমরা সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়লাম প্রিয়জন বা, ছোট বোনদের জন্য তিন রকম জিনিসপত্র সংগ্রহ করার। দোকানগুলোতে শামুক এবং ঝিনুকের বিভিন্ন আকারের আয়না, বিভিন্ন প্রকার গৃহসজ্জাপণ্য, দরজার ঝালর পর্দা, বিচিত্র সব শামুক-ঝিনুকে কারো নাম বা, পছন্দমতো বার্তা লেখা সম্বলিত শামুক এবং ঝিনুক দেখতে পেলাম।
তাছাড়া বিভিন্ন রং আর অন্যান্য উপকরণের তৈরি জিনিসপত্রের সৌন্দর্য ছিলো বেশ দারুন। সাগর পাড়ে শামুক-ঝিনুকের বাহারি সব পণ্য কেনাকাটার মজাই আলাদা। মালা গুলো একদম নজর কাড়া ছিলো । সব জিনিসের বৈচিত্র্যের শেষ নেই সবগুলো সৌন্দর্য খুবই দারুণ। কেনাকাটার সময় কোনটা রেখে কোনটা সংগ্রহ করবো আসলে ভেবে নেওয়াটা খুবই কষ্টকর। আসলে যা দেখি সবকিছু ভালো লাগে। মন চাইলে তো আর সবকিছু কেনা যায় না। তাই কিছু জিনিসপত্র সংগ্রহ করলাম । শামুক-ঝিনুকের অলংকার ও পণ্য সামগ্রীর দোকান গুলোতে দারুন মুহূর্ত কাটিয়েছি।
ঘুরে ঘুরে দোকানের অনেক জিনিস পত্র দেখেছি। শামুক-ঝিনুকের অলংকার ও পণ্য সামগ্রীর দেখে খুব ভালো লাগলো। নিত্যনতুন ডিজাইনের ঝিনুক সামগ্রী বেশ আকৃষ্ট করছে। আজ আর নয়। আগামী পর্ব আপনাদের মাঝে পরবর্তী পর্ব উপস্থাপন করবো।
পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি অন্য কোন বিষয় উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।
অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন । এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy

https://x.com/MdAgim17/status/1887113660784615568?t=G1wYSie58bXPM6QPQMkAXw&s=19
https://x.com/MdAgim17/status/1887113660784615568?t=G1wYSie58bXPM6QPQMkAXw&s=19
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে, চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে সময় কাটানোর মুহূর্তটা উপস্থাপন করেছেন। এমন সুন্দর স্থান গুলো দেখার মধ্যে এবং ভ্রমণ করার মধ্যে রয়েছে অনেক ভালোলাগা। এমন সুন্দর জায়গা দেখলে মন যেন ছুটে যায় ঘুরে আসি এমন অজানা স্থানগুলোতে। খুবই ভালো লাগলো আপনার বিস্তারিত অনুভূতি পড়ে।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য।
দেশের বহুল আলোচিত একটি স্থানে উপস্থিত হয়েছেন ভাইয়া। এই জায়গাগুলো দেখতে যেমন ভালো লাগে তেমনি এই জায়গার বিভিন্ন জিনিস গুলো দেখলে মন ভরে যায়। এখানে এমন কিছু কিছু জিনিস রয়েছে যেগুলো শুধু সমুদ্র সৈকতের আশেপাশেই দেখতে পাওয়া যায় কিন্তু বাজারে বা অন্যান্য জায়গায় সমস্ত জিনিস পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে বলতে পারা যায় পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে দারুন মুহুর্ত কাটিয়েছেন ভাইয়া।
জি ভাই পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে দারুন মুহুর্ত কাটিয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আপনি চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে সময় কাটানোর অভিজ্ঞতাটি খুবই সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘুরে বেড়ানো এবং নতুন স্থান দেখার মধ্যে এক আলাদা আনন্দ রয়েছে। এসব জায়গা দেখলে মনটা যেন সারা দুনিয়া ঘুরে আসার ইচ্ছা জাগে। আপনার অনুভূতি পড়ে সত্যিই বেশ ভালো লাগলো, ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
জি আপু, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঘুরে দেখতে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ভাইয়া আপনি চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ঘুরে দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি সহ খুব সুন্দর ভাবে অনুভূতি শেয়ার করেছেন। আমার এখনো পতেঙ্গা যাওয়া হয়নি। কবে খুব শীগ্রই যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। ধন্যবাদ।
আপনি যেন তাড়াতাড়ি পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে যেতে পারেন এই আশা ব্যক্ত করি । ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।