গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন।
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।
প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন এই বিষয় সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
আসুন শুরু করি
আজ কয়েকদিন হঠাৎ অতি গরম পরতেছে। দিনের চেয়ে রাতের গরমে তাপমাত্রা খুব বেশি বেড়ে যায়। রাতে কোন ভাবেই ঘুমানো যায় না অতিরিক্ত গরমের জন্য। আপনারা সকলে জানেন কিছুদিন আগে আমাদের এদিকে ভয়াবহ বন্যা সংগঠিত হয়েছে। আজ কয়েক দিন হলো বন্যার পানি বাড়ি ঘর থেকে নেমে গেলো। বন্যাতে আমাদের জনজীবন খুবই বিপর্যয়ের মধ্যে ছিলো। বন্যার কারণে আমাদের দুর্ভোগের শেষ ছিলো না। আজ কয়দিন হলো সবকিছু গুছিয়ে আবার নিজ ঘরে থাকা আরম্ভ করছি। কিন্তু আজ তিন থেকে চার দিন খুবই গরম পড়তেছে। তার মধ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রান্তি লেগে আছে। ২৪ ঘন্টার ভিতরে আমার মনে হয় বিদ্যুৎ ৮ ঘন্টা থাকে না।
অতি গরম তার মধ্যে ঘন ঘন লোডশেডিং। এতে করে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে গেলো। আসলে দিনের চেয়ে রাতে গরমের পরিমাণ খুবই বেশি হয় । রাতে অতিরিক্ত গরমের জন্য শরীর থেকে ঘাম ঝরে অধিক পরিমাণে । রাতে কোন ভাবে ঘুমানো যায় না গরমের জন্য। অতিরিক্ত গরমের জন্য মাথা ব্যথা, সর্দি কাশি লেগে আছে। অতিরিক্ত এই গরমের কারণে শিশু এবং বৃদ্ধদের খুবই কষ্ট হচ্ছে। আসলে আমার শান্তি কোথায় পাচ্ছি না । গ্রামে থাকার পরও যে পরিমাণ গরম অনুভব করতেছি। শহরের গরমের কি অবস্থা? নিশ্চয়ই শহরে অধিক পরিমাণে গরম পড়তেছে। ইট পাথরের শহরে ঠান্ডা আবহাওয়া কোথায় নেই। সবদিকে গরম আর গরম।
তীব্র গরমে স্বভাবতই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে আমাদের জনজীবন। তীব্রতর তাপপ্রবাহ বয়ে চলছে। গরমে অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হচ্ছে। অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে হিটস্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা থাকেছে। এই তীব্র গরমে শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট সবচেয়ে বেশি। যারা বাইরে অতিরিক্ত রোদের মধ্যে কাজ করে। তারা রোদে পুড়ে, ঘাম ঝরিয়ে অধিক পরিশ্রম করে থাকে। অতিরিক্ত গরমের কারণে শ্রমজীবী অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এখন আমরা প্রতিমুহূর্তে দুর্যোগ-দুর্বিপাকে পড়ছি। তীব্র গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। প্রচণ্ড গরমে হাসপাতাল গুলোতে বেড়েছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
গরমের তাপমাত্রা একটু বেড়ে গেলেই বিদ্যুৎ থাকে না।
বিদ্যুৎ একবার গেলে আর আসে না। তিন থেকে চার ঘন্টা পর বিদ্যুৎ একবার আসে আবার কিছুক্ষন পর চলে যায়। অতিরিক্ত গরমে অতিষ্ঠ যন্ত্রণার মধ্যে মনে মনে ভাবি বিদ্যুৎ এখন আর যায় না মাঝে মাঝে আমাদের দেখতে আসে। ঘন ঘন লোডশেডিং, ভোগান্তিতে মানুষ। শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি লোডশেডিং হচ্ছে। তাপমাত্রা বাড়তে শুরু হয়েছে এরই মধ্যে অতিরিক্ত লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। এতে করে সাধারণ মানুষের কষ্ট এবং ভোগান্তির কোন শেষ নেই। বিশেষ করে শিশু এবং বৃদ্ধরা খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। লোডশেডিং বেশি হওয়ায় ভোগান্তি পোহাচ্ছে জনসাধারণ।
আসলে অতিরিক্ত গরমে কোন কাজ শান্তিতে করা যায় না কিছুক্ষণ কাজ করলে সারা শরীর ঘামে ভিজে যায়। তার মধ্যে বিদ্যুৎ নেই কি যে যন্ত্রণার মধ্যে মুহূর্তগুলো অতিবাহিত হচ্ছে তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। আধুনিক প্রযুক্তি এই সময়ে সব কিছু বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু যেভাবে ঘন ঘন লোডশেডিং দেখা দিয়েছে এতে করে স্বাভাবিক জীবনযাত্রার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ যদি না পাওয়া যায় তাহলে খুবই বিপর্যয় আমাদের জীবনে নেমে আসবে। তাপপ্রবাহের কারণে দিন ও রাতে গরমের অনুভূতি আলাদা করার উপায় নেই। সবাই এখন প্রকৃতির একটু ঠান্ডা হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। কখন বৃষ্টি নামবে আর গরমে অতিষ্ঠ যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পাবে সবাই বৃষ্টির জন্য অধিক আগ্রহে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছে।
পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি অন্য কোন বিষয় উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।
অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন । এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
https://x.com/MdAgim17/status/1837121555136139571?t=yHhCO58Z88xVZlAa0-DPjg&s=19
এ কয়টা দিন সত্যি প্রচন্ড গরম পড়ছে। আর এই অবস্থায় বাইরে চলাচল কাজ করা বেশ কঠিন। আমি তো অতিষ্ঠ হয়ে বাইরে তেমন বেশি একটা যাচ্ছি না বললে চলে। এমনিতে সদ্য সদি ভাব রয়ে গেছে। যাই হোক এই দিনকে কেন্দ্র করে আপনি একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন দেখে বুঝতে পারলাম আপনাদের ওখানেও একই অবস্থা।
জি ভাই, এখন অনেক বেশি গরম পড়ছে ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আর সে কথা বলবেন না ভাই। প্রচন্ড গরমের কারণে অতিষ্ঠ জীবন। রান্নাবান্না করতে গেলেও বেশ কষ্ট হয়। বৃষ্টির পর থেকে এমন দিনকাল শুরু হয়েছে যেন কোন কিছুতেই শান্তি নেই। এদিকে গরমের সাথে সাথে যেন লোডশেডিং বেড়ে চলেছে। তাই আরো ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
জি আপু, প্রচন্ড গরমের কারণে অতিষ্ঠ জীবন। রান্নাবান্না করতে গেলেও বেশ কষ্ট হয় অতিরিক্ত গরমের কারণে।
ভাইয়া বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ে খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আসলে ভাইয়া কি আর বলব এই গরমে একদম অতিষ্ঠ। কেননা এই গরমের কারণে কোন কাজ করতে তেমন ভালো লাগছে না। একদিকে যেমন গরম ঠিক অন্য দিকে লোডশেডিং ব্যাপারটা কিন্তু কোনোমোতেই মেনে নেওয়া যায় না। সব মিলিয়ে এই পরিস্থিতিতে কেউ ভালো আছে বলে মনে হয় না। পোস্টটি কিন্তু সুন্দর ছিল। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি ভাই অতিরিক্ত গরমের কারণে দুর্ভোগের শেষ নেই। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই এত সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
আসলে ভাই আপনি ঠিক কথা বলেছেন। এই গরমের জন্য কিন্তু সবাই অনেক বেশি কষ্টে কাজকর্ম করতে হচ্ছে। আসলে অতিরিক্ত গরম থাকলে কাজ করার মত মন মানসিকতা আমরা হারিয়ে ফেলি। যাইহোক যেহেতু কর্মই আমাদের ধর্ম তাই যতই গরম হোক না কেন আমরা আমাদের কাজ সব সময় চালিয়েই যাব।
জি ভাই আপনি ঠিক বলেছেন, কর্মই আমাদের ধর্ম। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
ভাইয়া বর্তমান সময়ে যেমন গরম তেমন লোডশেডিং। এই গরমে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। তবে এটি ঠিক শহরের তুলনায় গ্রামে লোডশেডিং বেশি দেখা যায়। আর দিনের সেয়ে রাতের গরম বেশি। যদিও কারেন্ট থাকতো তাহলে মানুষ একটু শান্তিতে থাকতে পারতো। বর্তমানে এই গরম এবং লোডশেডিং এর কারণে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। সামান্য কিছুক্ষণ কারণ থাকলে তিন-চার ঘন্টা কারণ থাকে না গ্রামাঞ্চলে। সুন্দর করে পোস্টটি শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে।
জি ভাই, শহরের তুলনায় গ্রামে লোডশেডিং বেশি দেখা যায়। পুরো পোস্টটি দেখে এতো সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
গরমের অবস্থা আর কি বলবো ভাই। জীবন যায় যায় অবস্থা। বাহিরে বের হওয়া যাচ্ছে না। রোদ না থাকলেও ভাপসা একটি গরম। এই অবস্থা থেকে কখন যে মুক্তি পাবো আল্লাহই জানে। খুব সুন্দর ব্লগ লিখেছেন। ধন্যবাদ।
গরমে জীবন খুবই অতিষ্ট ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।