আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি পরিবার নিয়ে আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভালো ও সুস্থ আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি অরিগামি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
![IMG_20240620_182020_845.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmP5K2VkUuRpAgxh2Vp1Q6N2iq5c97XxPhgiKiUvJBFoAS/IMG_20240620_182020_845.jpg)
অনেকদিন হলো ভাবছিলাম আগের দিনের চিঠি আমরা কিভাবে ভাঁজ করতাম সেটা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আজ আমার মনে হল এই পোস্টটি আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাক। আগের দিনের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল এই চিঠি। বর্তমানে আমরা মেসেঞ্জার, হোয়াটস অ্যাপ, টুইটার সহ নানা রকম মাধ্যমে মেসেজ একজনের কাছে আরেকজন খুব সহজেই আদান-প্রদান করতে পারি। কিন্তু এক কালে যখন এই মাধ্যমগুলো ছিল না তখন মানুষ চিঠির মাধ্যমে কিন্তু তাদের তথ্য আদান-প্রদান করত। এই চিঠিগুলো পৌঁছাতেও প্রায় এক সপ্তাহ বা তারও বেশি সময় লাগতো। আমার আম্মুর মুখে শুনেছি আগে নাকি এই চিঠির মাধ্যমেও মানুষজন প্রেম পত্র লিখে থাকতো। প্রেম পত্র গুলো আবার গাছের সাথে, ইটের নিচে রেখে দিত। অনেক সময় যারা সামনাসামনি ভালোবাসার কথা বলতে পারতো না তারা নাকি এই চিঠির মাধ্যমেই তাদের মনের ভালোবাসার কথা প্রকাশ করতো। যাইহোক আজ এই চিঠি ভাজ করা শিখতে পেরে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগছে। আমি কিভাবে চিঠি ভাজটি করলাম তা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
• রঙিন কাগজ
• কেচি
প্রথমে একটি রঙ্গিন কাগজ নিয়েছি এবং কাগজটিকে কোনাকুনি করে ভাঁজ করে নিয়েছি।
একইভাবে কাগজটিকে আরেকপাশে ভাজ করে নিয়েছি।
এবার দুই পাশে একইভাবে কোনাকুনি করে ভাজ করে নিয়েছি।
ভাঁজ করে নেয়া কাগজটিকে আবারো উপরের ছবির মত করে ভাঁজ করে নিয়েছি দুই পাশে।
এরপর ভাজ করে নেয়া কাগজটির অংশ থেকে আবারো চার কোনা করে দুই পাশেই ভাঁজ করে নিয়েছি।
ত্রিভুজ আকৃতির উপরের অংশটিকে আবারও ভাজ করে নিয়েছি।
এরপর পুরো কাগজটিকে আমি উল্টিয়ে নিয়েছি।
এবার উল্টিয়ে নেওয়ার পর মাঝের অংশটিকে কেন্দ্র করে আবারও দুটি ভাজ দিয়ে নিয়েছি।
এরপর দুই পাশে অতিরিক্ত কাগজটিকে ভাজ করে নিয়েছি।
নিচের বাড়তি অংশটুকু থেকে সামান্য কিছু কেটে নিয়েছি এবং দুইপাশে ভাজ দিয়ে নিয়েছি।
বাড়তি বাকি অংশটুকু চারকোনা অংশের ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়েছি।
![IMG_20240620_182101_911.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmQY1MjSkYN4RTDrmLZgANrsiExfT7fJGVyM299AP1QsiE/IMG_20240620_182101_911.jpg)
![IMG_20240620_182055_046.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmciGqUsfcruQzBMr7oiw8WTXEWUQjXpDEwHgGzarUVhgk/IMG_20240620_182055_046.jpg)
![IMG_20240620_182031_758.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmUjFSXJ4gG6zfnR15VAT6pbNfJ3TLbJSLEQFCfHtrSA1g/IMG_20240620_182031_758.jpg)
আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার চিঠি ভাজ করা। এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। এরপর আবারো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। সে পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন। আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
![3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPptwgeYqAyQnCGLyAR5C2jardkEq4hQWCHtPGqKjoAypRG1fcpQFNRQgvh5fP...wyPEkdaL8rcy8iiqw2zmwtNGFRM7qzJMJfay58rzjBWrL8FtEuJZBNpwUK2YPKyD4Dsy9xJJpCDgiPrLZEWCfGdjjwF7pfFydZtM4b2E2zS6XgKqikMACiTkxe.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZrtBaknquDKAZVJ7EotUYiBtEi8GYEw3YFGssjPSwiho/3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPptwgeYqAyQnCGLyAR5C2jardkEq4hQWCHtPGqKjoAypRG1fcpQFNRQgvh5fP...wyPEkdaL8rcy8iiqw2zmwtNGFRM7qzJMJfay58rzjBWrL8FtEuJZBNpwUK2YPKyD4Dsy9xJJpCDgiPrLZEWCfGdjjwF7pfFydZtM4b2E2zS6XgKqikMACiTkxe.png)
আসসালামু আলাইকুম। আমি আফরিন খান উপমা। আমি রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলায় বসবাস করি। আমি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারের মানবিক বিভাগের একজন ছাত্রী। আমার জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি একজন ব্লগার উদ্যোক্তা। আমি গান গাইতে , নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে এবং ছাদ বাগান করতে খুব ভালোবাসি। আমি আনন্দময়ী এবং সকলকে নিয়ে হৈহুল্লর ও একসঙ্গে সকলকে নিয়ে মজা করতে পছন্দ করি। আমি সকলের দুঃখে দুঃখী এবং সকলের সুখে সুখী
আসলে এক সময় চিঠির খুবই গুরুত্ব ছিলো। চিঠি জন্য অনেকে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে। আপনি চিঠি অরিগামি তৈরি করেছেন বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। চিঠির অরিগামি বেশ অসাধারণ হয়েছে। চিঠি অরিগামি তৈরি প্রক্রিয়া আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া একটা সময় চিঠির খুবই গুরুত্ব ছিল। দিনের পর দিন মানুষ চিঠির জন্য অপেক্ষা করত। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আগের দিনের মানুষের যোগাযোগের এক মাত্র মাধ্যম ছিলো এই চিঠি।জরুরী কোন কাজে বা মনের ভাব আদান প্রদানের মাধ্যম ছিলো চিঠি।আপনি দেখছি চমৎকার সুন্দর চিঠির ভাজ দিতে পারেন এরকম যদি চিঠির ভাজ দিয়ে কাউকে দেয়া যায় তাহলে তো অনেক নিরাপদ। ধন্যবাদ আপু চমৎকার সুন্দর চিঠির ভাজ করা পদ্ধতি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু কোন কাজে বা মনের ভাব আদান-প্রদানের জন্য একমাত্র মাধ্যম হলো চিঠি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
রঙ্গিন কাগজ দিয়ে তৈরি করা জিনিস গুলো দেখতে খুবই আকর্ষণীয় লাগে।আজকে আপনি রঙিন কাগজ দিয়ে দারুন একটি অরিগামি তৈরি করেছেন আপু।আপনার তৈরি করা অরিগামি টি দেখতে ভীষণ সুন্দর হয়েছে। খুবই নিখুঁত ভাবে প্রতিটা ধাপ উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
রঙিন কাগজ ব্যবহার করে আপনি আজ খুব চমৎকার ভাবে একটি পুরানো দিনের চিঠির ভাজ বানিয়েছেন। দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আধুনিকতার সাথে সাথে এই ঐতিহ্যগুলো যেন হারিয়ে গিয়েছে। যাই হোক চিঠি কীভাবে ভাঁজ করতে হয় সেটা আপনি সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। শিক্ষামূলক পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
পুরনো দিনের চিঠি ভাজ এটা অনেকদিন পর দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। অরিগ্যামি মানে হচ্ছে ভাঁজ করার মাধ্যমে তৈরি করার প্রক্রিয়া। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। এ ধরনের কাজগুলি আমার ভীষণ ভালো লাগে। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
বাহ বেশ দারুন হয়েছে। অরিগ্যামি আর্টটি করতে আপনি বেশ অনেকটা সময় দিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো।
চিঠি ভাঁজ করার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আমার মতে, কেননা ছোটবেলায় যেই ব্যাক্তিগত ও দাপ্তরিক চিঠি লেখার নিয়ম পড়েছি আর কিভাবে তাতে খাম সেঁটে দেওয়া হতো ; ঠিকানা যুক্ত করে একটি ডাকটিকেট আর টাইপরাইটার যখন ছিল না তখন হাতের লেখা স্পষ্ট ফুটে উঠতো।
হায়, সে দিন তো এখন আর নেই। এখন তো সব ডিজিটাল আর অনলাইন হয়ে গিয়েছে, ওয়েবসাইটেই চিঠির ফাংশন শেষ করতে হয়।
যা হোক, আপনার চিঠির পূর্ণাঙ্গ রূপটা দেখে ব্রিটিশ আমলের কথা মনে পড়ে গেল। ছবি কিংবা টেলিফিল্ম কিংবা সাহিত্যে বাহারি মোড়কে ঢাকা চিঠি ঠিক যেভাবে ভাঁজ করেছেন - এমনভাবেই পাঠানো হতে।
চিঠি বিলি করার লোকও ছিল।
হায়, এসব এখন দূরের অতীত হয়ে গিয়েছে ।
ধন্যবাদ, সেই স্মৃতি আবার মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য। 💐
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এসব এখন দূরের অতীত হয়ে গিয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
রঙিন কাগজ দিয়ে আপনি খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে একটি পুরনো দিনের চিঠি তৈরি করেছেন আপু। আসলে এই ধরনের চিঠি এখন আর দেখা যায় না। মানুষ বর্তমানে মেসেঞ্জার, হোয়াটস অ্যাপ, টুইটার সহ নানা রকম অনলাইন প্লাটফর্মে গভীর ভাবে জড়িত। প্রতিটি ধাপ সমূহ আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এখন আর আগের মত পোস্ট অফিস থেকে চিঠি কারো বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয় না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি ঠিক বলেছেন আগের দিনে মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিলো। তবে এখন বিভিন্ন স্মার্ট ফোন বের হয়ে এবং বিভিন্ন ধরনের এপস বের হওয়ার কারণে চিঠির নাম সবাই ভুলে গিয়েছে। ধন্যবাদ চিঠি ভাঁজের প্রতিটি ধাপ সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।
রঙিন কাগজ ব্যবহার করে আপনি খুব চমৎকার একটি পুরনো দিনের চিঠির খাম বানিয়েছেন। আপনার তৈরি করা চিঠির খামটি দেখতে অনেক চমৎকার লাগছে। আপনি প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
সু স্বাগতম আপু।