আলু-করলা মিক্সড ভাজি রেসিপি "১০ শতাংশ লাজুক শিয়ালের জন্য বরাদ্দ"
প্রিয়,
আমার বাংলা ব্লগবাসী
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশাকরি আপনারা সবাই বেশ ভালই আছেন। উপরওয়ালার অশেষ রহমতে আমিও বেশ ভালো এবং সুস্থ আছি। আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে আমার করা পোস্টগুলোতে প্রতিনিয়ত ভেরিয়েশন আনার চেষ্টা করি। ভেরিয়েশন আনতে গিয়ে কখনো ক্রাফট পোস্ট, কখনো বা ড্রয়িং পোস্ট, আবার কখনো বা ফটোগ্রাফি পোস্ট কিংবা রেসিপি পোষ্ট আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি।
এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমি আপনাদের সামনে রেসিপি পোস্ট নিয়ে লিখব।আমার রেসিপি পোস্টের টপিক হলো আলু-করলা মিক্সড ভাজি রেসিপি।
এই কয়েকদিন রোজা থেকে বেশ ভালই হাটাহাটি করেছি। বিশেষ করে গতকাল রাতে রাত আটটা থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত মার্কেটে ঘুরেছি। সামনে ঈদ আর ঈদের কারণে পুরো পরিবারের জন্য কেনাকাটা করা লাগলো। যার ফলে পায়ের অবস্থা একদম শেষ। আজকের সারাদিন বাসা থেকে বাইরে বের হতে পারিনি। বাসা থেকে বের না হওয়ার কারণ হল পায়ের প্রচন্ড ব্যথা এবং রোদের তীব্রতা।তাই আজকে বাসায় বললাম করোলা দিয়ে কোন একটা রেসিপি বানাতে। করলা দিয়ে তৈরি যে কোনো রেসিপি সাধারণত তেতো হয়।আরিফ ভাই তার একটি রেসিপি পোস্টে কিভাবে করলার তিতা দূর করা যায় তা শিখিয়ে দিয়েছিলেন। সেই পদ্ধতিটি মূলত আমি বাসায় অনুসরণ করতে বলেছি।
আলু-করলা মিক্সড ভাজি রেসিপির ছবি:
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
উপকরণ সমূহ | পরিমাণ |
---|---|
আলু | ৫-৬ পিস |
করোলা | ৪পিস |
পেঁয়াজ | ৫ টি |
কাচা মরিচ | ৪-৬ টি |
জিরা | ১ মুষ্ঠি পরিমাণ |
সয়াবিন তেল | ১০০ গ্রাম |
হলুদ | ৩ টেবিল চামুচ |
লবণ ও পানি | পরিমাণমতো |
প্রথম ধাপ:
প্রথমে আমাদের আলু,করোলা,পেঁয়াজ এবং মরিচ ধুয়ে নিয়ে কুচি কুচি করে কেটে নিতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ:
এ ধাপে করোলার তেতো স্বাদ দূর করার জন্য কেটে নেয়া করোলা গুলো পানিতে ৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে (আরিফ ভাইয়ের কাছ থেকে শিখছি)।
তৃতীয় ধাপ:
এ ধাপে একটি কড়াইতে সামান্য পরিমাণ তেল নিয়ে চুলায় গরম করতে হবে।
চতুর্থ ধাপ:
তেল কাঙ্খিত পরিমাণ গরম হলে এর মধ্যে পরিমান মত জিরা ঢেলে নিতে হবে।
পঞ্চম ধাপ:
এরপর পেঁয়াজ এবং মরিচ কুচি গুলো ঢেঁলে নিতে হবে।
ষষ্ঠ ধাপ:
এ ধাপে আমাদের কেটে নেয়া আলু এবং করোলাগুলো ঢেলে দিতে হবে।
সপ্তম ধাপ:
এ ধাপে হলুদ এবং লবণ ও মিশ্রিত করতে হবে।
অষ্টম ধাপ:
ভাজনি দিয়ে সমগ্র মিশ্রণটি ভালোভাবে মিশ্রিত করে নিয়ে কড়াই ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
নবম ধাপ:
ভাজি রেসিপি যাতে কড়াইয়ের সঙ্গে লেগে না যায় এজন্য ভাজনি দিয়ে মাঝে মাঝে নেড়ে দিয়ে আবার ঢেকে নিতে হবে।
দশম ধাপ:
১৫ মিনিট ঢেকে রাখার পর আমাদের কাঙ্খিত রেসিপি প্রস্তুত হয়ে যাবে।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আরিফ ভাইয়ের পোস্টা টি দেখে নি, কিভাবে করলা থেকে দিতে ভাবটা দূর করা যায় তা আমি আগে জানতাম না আজ আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। আমিও কয়েকদিন আগেই করোলা ভাজি রেসিপি পোস্ট করেছি এর উপকারিতা অনেক তাও উল্লেখ করেছি। ভালো লাগলো ভাই আপনার রেসিপিটি ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
এই পদ্ধতি অবলম্বন করে করলার তিতা দূর করে রেসিপি টা খেয়ে দেখবেন একদিন। বেশ সুস্বাদু হয়। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি খুব সুন্দর করে আলু-করলা মিক্সড ভাজি রেসিপি তৈরি করেছেন। আসলে আলুর সাথে করলা দিলে খুব ভালো লাগে। আপনার প্রস্তুত প্রণালীঃ বেশ দুর্দান্ত হয়েছে এত অসাধারণ রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
রেসিপিটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার পাশাপাশি প্রস্তুত প্রণালী ও সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আলু দিয়ে করলা ভাজি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। অনেকেই আছে তিতার জন্য করলা ভাজি খেতে পারে না। আমিও ছোটবেলায় পারতাম না কিন্তু এখন আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার। আপনি দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ছোটবেলায় এই রেসিপিটা আমি মুখেও নিতাম না এর তেতো স্বাদের জন্য এখন আমিও ভালোই খেয়ে থাকি। ধন্যবাদ আপনাকে।
আলু করলা মিস্ক ভাজি অনেক গুরুত্বপূর্ণ রেসিপি আমার জন্য। আমি এই রেসিপিটি।খুব পছন্দ করি। আপনি খুব সুন্দর ভাবে রেসিপিটি তৈরির সকল প্রসেস দেখিয়েছেন। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইলো।
আপনার মত আমিও এই রেসিপিটা খেতে খুবই পছন্দ করি। পছন্দের রেসিপিগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারলে ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আলু-করলা মিক্সড ভাজি রেসিপি শেয়ার করেছেন দারুন হয়েছে। যদিও আমি কখনো এভাবে খাইনি তবে আপনার রেসিপি দেখে তো লোভ সামলাতে পারলাম না খেতে ইচ্ছা করছে ভাই। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
এই রেসিপিটা তো আর খাওয়ানো সম্ভব না।ধাপগুল অনুসরণ করে আপনিও বাসায় বানিয়ে এরপর খাবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আলু করলা ভাজি আমার খুবই প্রিয় একটি রেসিপি ভাইয়া, আবার আরিফ ভাইয়ের পদ্ধতি অবলম্বন করে করলার তিতা সরানোর বিষয়টি খুব ভালো লেগেছে, আর খেতেও খুব মজা হয়েছে, সব থেকে উপস্থাপনা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ভাইয়া।
আরিফ ভাই অনেক আগে একবার এরকম ভাবে রেসিপি তৈরি করেছিল। করলার তিতা দূর করে। সেখান থেকে মূলত আইডিয়া নিয়েছিলাম।ধন্যবাদ আপনাকে।
ঈদের মধ্যে ঘোরাঘুরি করার ফলে আপনার শরীরের ব্যথা হওয়ার কারণে খুবই কার্যকর একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। করলা ভাজি ব্যথা দূরীকরণে বেশ সহায়ক। করলার তেতো কিভাবে দূর করা যায় সেটাও খুব সুন্দর ভাবে দেখিয়েছেন। শুভেচ্ছা রইল ভাই।
ঈদের কেনাকাটার জন্য ভালই ঘোরাঘুরি করতে হয়েছে ভাই।এজন্য শরীর প্রচন্ড ব্যথা করছিল।যার ফলে করলা ভাজি করলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
সাহশ করে করলা দিয়ে আলু ভেজেই ফেললেন ভাই😁😁😁👻
দারুন ছিল রেসিপিটা অবশ্য করোলা আমার অ পছন্দের। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য।
সাহস করে বললে ভুল হবে ভাই।আমি মাঝে মাঝে খেয়ে থাকি। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি ছোটবেলায় করলা ভাজি খেতে পারতাম না কেননা এটা খেতে অনেক তেতো লাগে। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি করলা খেতে অনেক উপকারী এবং বর্তমানে আমি করলা খুবই পছন্দ করি। আর আপনার রেসিপি অনেক ভালো হয়েছে।
করলা ভাজি ছোটবেলায় আমিও খেতাম না।কিন্তু এটি আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী জানার পর থেকে নিয়মিত খাই।ধন্যবাদ আপনাকে।
মাঝে মাঝে এই ধরনের সবজি জাতীয় খাবার খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। আলু এবং করলা মিক্সড সবজি রেসিপি তৈরি অনেক সুন্দর হয়েছে ।যেটা খুবই পুষ্টিকর খাবার সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
খুবই পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু একটি রেসিপি ভাই। আমি প্রায় সময় ওই রেসিপিটা খাই। ধন্যবাদ আপনাকে।