🌺আসসালামুয়ালাইকুম🌺

• একটা সুন্দর দিন
• ১৩-অক্টোবর-২০২৩
• শুক্রবার

আশা করি আপনারা সকলের ভালো আছেন সুস্থ আছেন আর আপনাদের আজকের দিনটা অনেক ভালো কেটেছে।

আজ শুক্রবার তাই গতকাল রাতে ভেবেছি যে ঘুম থেকে একটু দেরি করে উঠব। কারণ কালকে তো ছাত্র ছাত্রীদের পড়ানো নেই। তারপর শুয়ে পড়ি এবং সকাল বেলা দেখি আমার দরজা ধরে ধাক্কা দিচ্ছে আমার বড় চাচা। দরজার ধাক্কার শব্দ শুনে আমার ঘুম ভেঙ্গে। তারপর আমি দরজা খুলি আর বলি কি হয়েছে চাচা?

আমার চাচা বলল যে, এখন সকাল কয়টা বাজে এত বেলা পর্যন্ত তুমি ঘুমাচ্ছ। আপনি ঠিকই বলেছেন আজকে একটু ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেছে। আমি বললাম আমার কাকাকে আপনি কি কিছু বলবেন। তিনি বললেন জুম্মার নামাজের পর একজায়গায় যাবো দুইজন। আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে।

তারপর আমার বড় চাচা চলে গেল। আমি আমার রুমের দরজা দিয়ে আবার শুয়ে পড়লাম কিন্তু ঘুম আর হল না। তারপর মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখি সকাল আটটা বাজে। মোবাইলের ওয়াই ফাই অন করি। আর স্টিমিটে প্রবেশ করি কারণ গত কাল রাতে একটা পোস্ট করি।

সেটার কোন ভোট পড়েছে কিনা আর পোস্টটে কেউ কোন মন্তব্য করেছে কিনা সেটা দেখার জন্য। তারপর স্টিমিটে প্রবেশ করে দেখি অনেকেই আমার পোস্টটে মন্তব্য করেছে। আমি সেইগুলো উত্তর দিয় আর দেখি যে গত কালের পোস্টটে একটা ভোট পড়েছে দের ডলার একটু বেশি।

খুবই ভালো লাগে যখন দেখি পোস্টটে ডলার ভোট পড়েছে সেই অনুভূতির কথা লিখে বোঝানো যাবে না। তারপর কিছু আপ ভোট ও মন্তব্য করি অন্যান্য পোস্টটে। তারপর আমি মোবাইল দিকে তাকিয়ে দেখি সকাল নয়টা বাজে। আমি আরো একটি নতুন ভোরের জন্য আল্লাহ সুবহানাতায়ালাকে ধন্যবাদ জানাই।

তারপর আমি দাঁত ব্রাশ করতে করতে টিউবওয়েল ওপর যাই। এবং হাত মুখ ধুয়ে রুমে এসে সকালের খাবার খাই। সকালের খাবার খেয়ে মোড়ের ওপর যায়। গিয়ে দেখি আব্দুল সামাদ বাঁশ কেটে নিয়ে আসিতেছে। আমি ওকে বললাম বাঁশ কি করবি? ও বলে ভাই লাউ গাছে জাঙ্গালা দিব।

তারপর আমি মোড়ের ওপর বসে গল্প করি সাইফুল ভাস্তের সাথে। দুই ঘন্টা গল্প করার পর আমার মনে পড়ে গেল আমার একটা দাওয়াত আছে। আমার একা একা যেতে ইচ্ছে করছিল না। পরে সাইফুল ভাস্তেকে বলি আমার সাথে যাওয়ার জন্য এবং ও রাজি হয়ে যায়। আমি ওকে বললাম তুমি রেডি হয়ে মোড়ের ওপর আসো।

ও বলল আচ্ছা ঠিক আছে। তারপর আমি বাড়ি এসে গোসল করে রেডি হয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে মোড়ের ওপর যায়। তারপর ভাস্তে আসল এবং আমার দুইজন দাওয়াত খাওয়া উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিছুক্ষণ পর পরে আমার পৌছে যায় সেই অনুষ্ঠান বাড়িতে।

অনুষ্ঠান বাড়িতে লোকজন কম থাকায় খাবার দেওয়া দেরি হচ্ছিল। তাই আমি আর ভাস্তে সময় কাটানোর জন্য একটা দোকানের ওপর গিয়ে বসি কিছুক্ষণ। কিছু সময় দোকানের ওপর পার করার পর আমারা সেখান থেকে আবার অনুষ্ঠান বাড়িতে আসি এবং খাওয়া দাওয়া করি।

খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমরা মসজিদের উদ্দেশ্যে রওনা হয় জুম্মার নামাজ পড়ার জন্য। তারপর আমার কৃষ্ণপুর জামে মসজিদ জুম্মার নামাজ আদায় করি এবং নামাজ শেষ করে আমরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিছুক্ষণ গাড়ি চালানোর পর বাড়ি চলে আসি।

বাড়ি এসে আমি জামা কাপড় খুলে বিছানায় শুয়ে পড়ি এবং ঘুম এসে যায়। তার কিছুপর আমার বড় ভাবি আমাকে ডাকে যে, তোর বড় চাচা তোকে ডাকছে। তারপর আমি রেডি হয়ে বড় চাচার বাড়িতে যায়। তারপর আমি আর আমার বড় চাচা গত সপ্তাহে জমি কিনার জন্য যে বাড়িতে গিয়েছিলাম সেখানে আবার যায়।

কিছুক্ষণ কথা বার্তা বলার পর আমার বাড়ি চলে আসি। বাড়ি এসে মোটরসাইকেল রুমে তুলে রাখি। তারপর আমি মোড়ের ওপর গিয়ে বসি। তারপর আমি মোবাইল টিপতে থাকি। আমার বড় চাচা আমাকে ফোন দিয়ে বলে আমাদের বাড়ি একটু আসো তো। আমার একটা ঔষধট কিনে হবে।

তারপর আমি আমার বড় চাচার বাড়িতে যায় এবং সেই ঔষধের একটা ছবি তুলি। ঠিক তখনই আশরাফুল আমাকে ফোন দিয়ে বলে চলো মামা রায়পুর থেকে ঘুরে আসি। আমি মনে মনে ভালোই হলো বড় চাচার ঔষধটা রায়পুর কিনা যাবে। এত দেখছি মেঘ না চাইতেই জল। তারপর আমি বললাম আচ্ছা তুই আমার বড় চাচার বাড়ির সামনে আই।

কিছুক্ষণ পর ও আসলো তারপর আমার মাঠের মধ্যে দিয়ে রায়পুর বাজারে দিকে যায়। যাওয়ার সময় মাঠের মধ্যে একটু থামি। তারপর সূর্য অস্ত যাওয়ার একটা ছবি তুলি। তারপর আশরাফুল ওর লতিফ কাকার মোটরসাইকেল চালাচ্ছে সেটার একটা ছবি তুলি। তারপর আর একটু সামনে এগিয়ে গিয়ে দেখি পিয়ারুল সাইকেল চালাচ্ছে এবং ওর দুলাভাই পিছনে বসে আছে তার একটা ছবি তুলি।

তারপর আমার রায়পুর বাজারে যায়। আমি একটা ঔষধের দোকান থেকে আমরা বড় চাচার সেই ঔষধ কিনি পাঁচ পিচ। প্রতি পিচ ছয় টাকা করে মোট ত্রিশ টাকা আমি দোকানদার দিয়। তারপর আমি আর আশরাফুল মোটরসাইকেল নিয়ে রওনা হয় বড় চাচার বাড়ির দিকে কিছুক্ষণ পর চলে আসি। এসে তার হাতে সেই ঔষধ গুলো দিই।

তারপর আমি বাড়ি চলে আসি তখন রাত হয়ে যায়। তারপর আমি রুমে আসি এবং আমি ভাবি আজকে সারাদিন আমি কি কি কাজ করলাম? তারপর আমি লেখা শুরু করলাম। এর পর মা রাতের খাবার খাওয়া জন্য ডাকে।

তারপর আমি রাতের খাবার খাই। রাতের খাবার খেয়ে আমি রাত নায়টা সাত মিনিটে ডিসকডে যুক্ত হয় এবং সবার সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয় সেখানে ও সবার মতামত নেওয়া হয় সেখানে খুবই সুন্দর একটা মুহূর্ত পার করলাম।

তারপর আলোচনা শেষ হয় রাত এগারোটা ত্রিশ মিনিটের দিকে। তারপর আমি বাদ বাকি লেখা লিখে শেষ করি। তারপর স্টিমিটে পোস্ট করে রাতে ঘুমাতে যায়। এভাবে আমার আজকে দিনের কার্যক্রম শেষ হয়।

এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন চলে গেল। জানিনা আজকে আমি কোন ভালো কাজ করতে পেরেছে কিনা। তবে সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। খুব সুন্দর ভাবেই আরো একটা দিন পার করতে পেরেছি তার জন্য।

সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আমি আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি। আর আমার লেখা আপনাদের সকলের কাছে কেমন লাগল সেটা বলবেন। আল্লাহ হাফেজ।