রাজ্যহীন, বিপদহীন পাপহীন,দোষহীন সুরক্ষিত এক রাজার খুন হওয়ার করুন কাহিনী।
source
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আসছালামুআলায়কুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।
প্রিয় সাথী বৃন্দ, আজকে আমি একরাজ্যহীন, বিপদহীন পাপহীন,দোষহীন, সুরক্ষিত এক রাজার করুন খুন হওয়ার করুন কাহিনী আপনাদের সামনে তুলে ধরবো ইনশাআল্লাহ।
রাজার মা-ই তাকে নিরব শব্দে, নির্দ্বিধায়, নির্মমভাবে, ঠান্ডা মাথায় তাকে পৃথিবীতে আসার আগে পরপারে পাঠাইয়া দেয়। এর সাথে আরো সহযোগী ঘাতক জড়িত থাকে যেমন ঐ রাজার বাবা এবং আরো অনেকে। তাদের সবারই কঠোর শাস্তি হবে পরকালীন জিন্দেগীতে।
source
এখন রাজার বিলাসবহুল জীবনযাপন এর কিছু কথা শুরু করা যাকঃ
রাজা, তার রাজ্যেতে সুখে শান্তিতে বসবাস শুরু করে দিয়েছে। সে রাজ্যেতে কোন শত্রু হানা দিতে পারে না। সে রাজ্যেতে কোন রোগ বালাই ঢুকতে পারে না। সে রাজ্যেতে কোন ক্ষতিকর জীবাণু প্রবেশ করতে পারে না। সে রাজ্যে সে অসুবিধাহীন, চিন্তা হীন, বিপদহীন, কষ্টহীন, এমন এক স্থানে বসবাস করে।
বিপদের পূর্বাভাসঃ
হঠাৎ একদিন রাজা টের পায়, তার এই সুরক্ষিত রাজ্যেতে কেউ যেন হানা দিতে চলেছে অর্থাৎ বিপদ সে টের পেয়ে যায়। সে টেনশন এবং মহা আতঙ্কে তা পর্যবেক্ষণ করতে থাকে। এর মাঝেই সে মহা বিপদের অস্তিত্ব টের পেয়ে যায়। সেই মহাবিপদ টের পাওয়ার পর সে প্রথমে চিৎকার না দিয়ে তা থেকে নিজেকে আত্ম রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যায়। তারপরেও তার সেই চেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।
source
বিপদ শুরুঃ
হঠাৎ সে টের পেয়ে যায়, তার মহা বিপদের অস্তিত্ব। সেই মহা ডাইনি তার একটি পা এর অগ্রভাগ কেটে নিয়ে এলো। তখন সে চিৎকার করে বলে, ওমা--- মাগো------ আমি মহা বিপদে পড়েছি । কে যেন আমার পায়ে আঘাত করছে, পা কেটে নিলো। সে চিৎকার করতে থাকে কিন্তু কেউ এগিয়ে আসলো না। এরপরেই সেই মহাডাইনি তার পায়ের অর্ধেক অংশ কেটে নিলো। সে আরো জোরে চিৎকার করতে থাকলো এবং বলল, ওমা--- মাগো---- আমি তো মহা বিপদে তুমি আমাকে রক্ষা করো। কিন্তু তার চিৎকারে কোন কর্ণপাত করা হলো না। এরপর তার পুরো পা কেটে নেয়া হলো। সে আরো জোরে জোরে আর্তনাদ করে যেতে থাকলো এবং মায়ের কাছে বাঁচার আকুতি জানাতে থাকলো কিন্তু কোন লাভ হলো না। এরপর মহাডাইনি তার আরেকটি পা কেটে নিলো, তখন সেই মরণপণ চিৎকার করতে থাকলো এবং বাঁচার আকুতি, তার মায়ের কাছে পেশ করতে থাকলো কিন্তু এবারও কোন ফলাফল হলো না।
source
এরপর তার পেটে নিম্নাংশ কাঁটা শুরু করে দিল, তখন সে চিৎকার করতে করতে শক্তি হারিয়ে ফেলল আর সে জোরে চিৎকার করতে পারে না। ধীরে ধীরে নিস্তেজ হতে লাগলো। তখন শক্তিহীন অবস্থায় সে বলতে শুরু করলো, "মা আমি তোমার কাছে কি অন্যায় করেছিলাম? কি অপরাধ করেছিলাম? কি দোষ করেছিলাম? কি পাপ করেছিলাম? যে, তুমি আমাকে পৃথিবীর মুখ দেখতে দিলে না। আমি চলে যাচ্ছি, কখনোই পৃথিবীর মুখ দেখতে পারব না, তবে তোমার সাথে আমার দেখা হবে হাশরের ময়দানে। সেদিন মা তোমার কাছে জিজ্ঞেস করবো, কেন তুমি আমার সাথে এমনটা করেছ? এরপর যখন আরও কাটা হলো তখন সে নিস্তেজ হয়ে তার প্রানপাখি বের হয়ে চলে গেল। এরপর তার দেহ, তার হাত, তার মাথা, সব টুকু কেটে বের করা হলো। এখানেই সেই চিন্তাহীন, ভাবনাহীন, কষ্টহীন, এক রাজার অপমৃত্যু হলো।
source
আসুন আমরা অত্যান্ত নিন্দনীয়, জঘন্য অপরাধ, হতে নিজেকে বাঁচায় এবং নিজের আহালকে বাঁচায় এবং আমাদের আশেপাশে সবাইকে এই পাপ হতে বেঁচে থাকার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাই। আজকে এখানেই শেষ করিলাম।
<
আপনি রাজ্যহীন, বিপদহীন পাপহীন,দোষহীন সুরক্ষিত এক রাজার খুন হওয়ার করুন কাহিনী আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ৷ আর গল্পটিও বেশ চমৎকার হয়েছে আগে এই ধরনের গল্প কখনও শুনি নি ৷ আজকে আপনার পোস্ট পড়ে বেশ চমৎকার একটি গল্প পড়ার সুযোগ হলো ৷
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ৷
আজকে আপনার পোস্ট পরিদর্শন করে অনেক বেশি খারাপ লাগলো। আসলে গল্পটা যেমন ভয়ঙ্কর ঠিক তেমনি মনে হচ্ছে। বাস্তবতার সাথে কিছুটা হলেও মিল আছে। একটা পায়ের অংশ থেকে শুরু করে তার পুরো শরীরের অংশ কেটে নিলো। কতটা ভয়ঙ্কর হলে এই ঘটনা মেনে নেয়া সম্ভব। চমৎকার গল্প আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।
জ্বী ভাই আমি আপনার সাথে পুরোপুরি একমত। সকল নিন্দনীয় কাজ বর্জন করা জরুরী। আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই তাদের সুরক্ষা করা এবং তাদের সুরক্ষা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। আপনার লিখার মাধ্যমে আমরা দারুণ একটি শিক্ষা পেলাম। যদিও বা এটি একটি গল্প ছিলো। যাইহোক ভাই ভালো থাকবেন সবসময়। শুভকামনা রইলো।
ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ কারন আপনি আমার পোস্টটি পড়ার জন্য এবং সেই সাথে সহমত প্রকাশ করার জন্য। আপনার প্রতি শুভকামনা রইল।
মানুষ কখনোই পুরোপুরি নিস্পাপ হতে পারবে না।কারন তার জেনেটিক গঠনই তাকে এরকম করে গড়ে তুলেছে। অসংখ্য পূর্বপুরুষদের জীন বহন করে চলছি আমরা।
তবে ইচ্ছে করলেই অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারি আমরা আমাদেরকে।তাই চেষ্টা করা উচিত আমাদের নিজেদেরকে সচেতন থেকে অন্যায় থেকে দূরে থাকার।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে লেখার জন্য।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ঠিক বলেছেন একজন মানুষ ১০০% নিষ্পাপ হতে পারেনা তবে আমাদের আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে আর মহান আল্লাহ তা'আলা আমাদের এই চেষ্টাটি দেখবেন। আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। আপনার প্রতি শুভকামনা রইল।
গর্ভপাত আমাদের দেশে এখনো বৈধ তবে অনেক দেশেই এটা নিষিদ্ধ।আপনি এক অনাগত সন্তানের মনের ভাষা এখানে প্রকাশ করেছেন। এটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক একটি কাজ ।বহু মায়েরা তার গর্ভের সন্তান কে কোনরকম দ্বিধা ছাড়াই হত্যা করে ফেলে। মা বা অন্যান্য লোকেরা বুঝতে চায়না সব সময়। অন্যায় সে যে কোন রূপে হোক না কেন তা অন্যআয়।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি টপিক রূপক অর্থে প্রকাশ করার জন্য
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ কারন আপনি আমার পোস্টটি সুন্দরভাবে পড়েছেন এবং একটি সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আপনার প্রতি শুভকামনা দোয়া রইল।
অবশ্যই আমাদেরকে সকল প্রকার নিন্দনীয় এবং জঘন্যতম কাজ থেকে বেঁচে থাকতে হবে, শুধু আমাদেরকে বাঁচলে হবে না বরং আমাদের পরিবার পরিজন এবং আমাদের চারপাশে সবাইকে এ ধরনের নিন্দনীয় আজ থেকে বিরত রাখতে হবে।
ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি লেখা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
আমরা পাপমুক্ত থাকার উপর বড় কেরামতি আর কিছু নেই। আমাদের যে কোন উপায়েই হোক না কেন সমস্ত জঘন্য অপরাধ হইতে অবশ্যই বেঁচে থাকতে হবে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ কারন আপনি আমার পোস্টটি পড়েছেন। আপনার প্রতি শুভকামনা রইল।
আপনি আজ খুব সুন্দর একটা গল্পের মাধ্যমে সমাজের ঘৃণ্য একটা অপরাধ তুলে ধরেছেন।আমাদের সবাইকে সচেতন হওয়া উচিৎ এই ব্যাপারে।আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের সমাজে ভালো মানুষের কোন ও দাম নেই ।আর তাদের বেঁচে থাকার অধিকার ও নেই বলে বোঝা যায়।আপনার পোস্ট টি পড়ে আমার এতো টা খারাপ লাগলো যা বলার বাহিরে। একটা নিষ্পাপ রাজাকে কি করে মেরে ফেলল। আমাদের সাথে এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।