আমার বাংলা ব্লগ - একটু হাসি || কৌতুক সপ্তাহ -১১
আমার বাংলা ব্লগের আরো একটি নতুন আয়োজন- এবিবি একটু হাসি’তে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা একটু ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ, মনের উচ্ছ্বাসে প্রাণ খুলে হাসার আয়োজন। যেখানে সবাইকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহের একটা দিন একটু অন্য রকমভাবে কৌতুকের সাথে আনন্দ করার প্রয়াস চালানো হবে। নিজেকে একটু অন্য রকমভাবে প্রকাশ করতে হবে, সবাইকে নিজের কথায় কিংবা কৌতুকে মাতিয়ে রাখতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতি সপ্তাহে পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা এই আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার পরিচয় দিবে এবং মজার কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবে, পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের বুধবার এবিবি একটু হাসি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে প্রতি সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নির্বাচন করা হবে। আপনারা সেই বিষয়টির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে কৌতুক অথবা মজার কোন হাসির অনু গল্প শেয়ার করবেন। এখানে মূল উদ্দেশ্য থাকবে হাসি, এমন কিছু শেয়ার করতে হবে সবাই যেন প্রাণ খুলে হাসার সুযোগ পায়। সেটা আপনার নিজের হতে পারে কিংবা সংগৃহীত হতে পারে, তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মের ভিতর থাকতে হবে, যেন কপিরাইট এর বিষয়টি সামনে আসতে না পারে।
আমাদের জীবনে মজার নানা ঘটনা রয়েছে, যেখানে হাসির একটা বিষয়ও সংযুক্ত রয়েছে। যেগুলো স্মরণ হলে এখনো আমরা মনে মনে হাসি অথবা লুকিয়ে হাসার চেষ্টা করি। আমরা আড়ালে থাকা সেই বিষয়গুলোকে সম্মুখে আনতে চাই এবং সকলের সাথে তা শেয়ার করার মাধ্যমে একটু অন্য রকমভাবে দিনটি উপভোগ্য করতে চাই। কৌতুকের ব্যাপারে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কৌতুক মোটেও কপিরাইটেড না। তবে সেটা সংগৃহীত পুরনো কৌতুক হবে, যদি ক্রিয়েটিভ কৌতুক হয় যেটার লেখকের নাম জানা আছে সেটা কপিরাইটেড। আশা করছি বিষয়টি পরিস্কার এখন।
আজকের বিষয়ঃ
গার্লস স্কুল নিয়ে কৌতুক বা মজার কোন অনুগল্প ।
বিষয় নির্বাচনকারীঃ
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প সর্বোচ্চ ৭৫ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একটি কৌতুক/হাসির অনু গল্প শেয়ার করতে পারবে।
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প অবশ্যই উপরের বিষয়ে সাথে সামঞ্জস্য/সংযুক্ত থাকতে হবে।
- এডাল্ট কিছু শেয়ার করা যাবে না, তবে সকলের সাথে ভাগ করে নেয়া যায় সেই ধরনের কিছু শেয়ার করা যাবে।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
দাদাঃ- কিরে নাতি গাছের মধ্যে ঝুলে ঝুলে কি দেখতেছিস..?
নাতিঃ- গার্লস স্কুলের মেয়েদের দেখতেছি।
দাদাঃ- হাত দুটো ছেড়ে দেও,নার্স স্কুলের মেয়েদের দেখতে পারবা।
নাতি এখন হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছে,হি হি হি হি।😂😂😂
গার্লস স্কুলের মেয়েদের দেখতে গিয়ে একেবারে নার্স স্কুলে চলে গেল ।
বাস্তব ঘটনা বলি
আমার এক বন্ধুর নতুন প্রেম হয়েছে ফেসবুকে।বন্ধু দেখা করতে যাবে,সাথে বডিগার্ড হিসেবে আমার যেতে হল।অথচ সেই শহরের কিছুই চিনি না।মেয়ে শুধু বলেছে গার্লস স্কুলের সামনে দাড়াতে।তো ভাবলাম সেখানে গিয়ে বাস থেকে নেমে একটা রিক্সায় উঠে বললেই নিয়ে যাবে।যেই ভাবা সেই কাজ।বন্ধু এক রিকশা ওয়ালা কে বলল মামা বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে যাবা।রিক্সাওয়ালা খানিকক্ষণ মাথা চুলকিয়ে বলল,মামা চিনি না।এভাবে যত জনকেই জিজ্ঞাসা করলাম সবারই একই উত্তর।তবে শেষের জন বলল,মামা অন্য নাম আছে? তখন বন্ধু বলল" এস এম গার্লস স্কুল"।তখন মামা বলে, আরে আপনারা পড়াশোনা করেন নাই, নাকি বাংলা বলতে পারেন না? গার্লস স্কুলে যাবেন তো গার্লস স্কুল না বলে বালিকা বিদ্যালয় বলতেছেন কেন? বালিকা বিদ্যালয় বললে কেউ চিনবে নাকি?
সেদিন থেকে শিক্ষা হইছে।এখন আর যেখানে সেখানে বাংলার চর্চা করিনা।
বাংলায় বললে এরকম অনেক জায়গায় বুঝতে পারে না সবাই। এমন একটি ঘটনা আমার সাথেও ঘটেছিল ভাই।
হাহহাহা।আমার সাথে আরেকবার হয়েছিল ভার্সিটি নিয়ে।
বিশ্ববিদ্যালয় বললে কেউ চিনতে পারবে না কিন্তু ভার্সিটি বললে চিনতে পারবে এরকম কিছু একটা হয়তো 🤔🤔। ঠিক বললাম তো ভাই নাকি?
হ্যা দাদা।
ইংরেজি বলতে পারেন না, আবার গার্লফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে যান। ভাল ভাবে পড়াশোনা করে তারপর রাস্তায় বের হবেন ভাই, হা হা হা হা হা হা। 🤣🤣🤣🤣
তাই করতে হবে দেখছি ভাই। প্রচুর পড়তে হবে।
এখন আধুনিক যুগ ভাইয়া, বাংলা কথা কেউ বুঝেনা।
গার্লস স্কুলের সংগা:গার্লস স্কুল একটি সুন্দর জায়গা যেখানে হরেক রকমের বাহারি মেয়েরা আড্ডা দিতে যায়।আর সেই বাহারি মেয়েদের সংবর্ধনা দিতে কিছু মানবিক (ছেশ্রা ) ছেলে ফুল হাতে চোখে চশমা পরে দাড়িয়ে থাকে।🤗
ভাই সেই মানবিক ছেলেদের লিডার আপনি ছিলেন কি না, সেটা জানতে চাই আমার অবুজ মন, হি হি হি হি 😂😂😂।
মোটেও না।ছোট থেকেই ডিসেন্ট পোলা আমি।আর যাই করি কিন্তু এই আকাম করি নাই কখনো 😎
দুই বন্ধুর কথা হচ্ছে,
বল্টু: জানিস বন্ধু আমার না খুব শখ গার্লস স্কুলের ভেতরে যাওয়ার।
বল্টুর বন্ধু: আরে এটা কোন ব্যাপার হলো ফুচকার দোকান দিয়ে গার্লস স্কুলের গেটের সামনে গিয়ে দাঁড়া। দেখবি মেয়েরা তোকে টেনে ভিতরে নিয়ে যাচ্ছে। 🤪🤪
আমি ফুচকার দোকান দিতে চাই। 🤣🤣🤣🤣
তাহলে আপু বয়েস হোস্টেলে যেতে চাইলে কিসের দোকান দিবে?
বিড়ির দোকান দিলেই হবে🤪🤪
শিক্ষক: কী ব্যাপার রূপা, অ্যাসাইনমেন্ট দিতে বললাম আর তুমি জমা দিয়েছ সাদা একটা পাতা!
শিক্ষার্থী: স্যার, আপনিই তো বলেছিলেন, অ্যাসাইনমেন্টটাকে যথাসম্ভব সংক্ষিপ্ত রাখতে আর অপ্রয়োজনীয় বাক্য বাদ দিয়ে দিতে।
অপ্রয়োজনীয় বাক্য বাদ দিতে দিতে মনে হয় সাদা একটা পাতা বাদ দেওয়াটাই বাকি ছিল, এটা ভালো ছিল দাদা।☺️
ভাবছি আমিও এমন করবো।😁😁
তাহলে তো বড়ো রসগোল্লাই কপালে জুটবে দাদা।
ভাইয়া প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নিকট কালো কালো লেখা গুলোকে অপ্রয়োজনীয় বাক্যই মনে হয়, হি হি হি।
সবার কথা জানিনা, তবে আমার কাছে তো মনে হয়🤣 যদি এমন হতো সাদা খাতা জমা দিলে বেশি মার্কস পাওয়া যায়, তাহলে আমি ফাস্ট হতাম সারাজীবন।😁
একদিন কোথা থেকে একটা গাধা জোগাড় করে সেটাকে ক্লাসে নিয়ে হাজির বুলু। দেখে তো শিক্ষকের চোখ কপালে।
শিক্ষক:বুলু, তুই এই গাধাটাকে এখানে এনেছিস কেন?
বুলু: স্যার, আজ তো প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস আছে। আর আপনি তো প্রায়ই বলেন, অনেক গাধা পিটিয়ে মানুষ করেছেন, তাই আজ স্বচক্ষে দেখব বলে ঠিক করেছি।
আপু বুলুর এই কান্ড দেখে টিচার মনে হয় কয়েক সাপ্তাহ বেহুশ ছিল,হা হা হা হা।😁😂😁😂
আমার ও তাই মনে হয়, হি হি☺️☺️
এটা বেস্ট হয়েছে। হা হা হা...🤣
😁☺️
স্যার তো একেবারে মুশকিলে পড়ল। এই গাধাটাকেতো সারা জীবন পিটলেও মানুষ করা সম্ভব নয়।
হি হি ঠিক বলেছেন আপু☺️☺️
গণিত শিক্ষক: এই সমীকরণের সমাধান করে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এক্সের মান হলো ১০।
শিক্ষার্থী: এক মিনিট স্যার! কোথাও ভুল হচ্ছে না তো? গতকালই আপনি বলেছিলেন এক্সের মান ৫।
এক গার্লস স্কুলের শিক্ষক পিংকি নামের এক ছাত্রীকে প্রশ্ন করলেন-
শিক্ষক: বল তো ১৮০৯ সালে কোন বিখ্যাত ব্যক্তি জন্মেছিল?
পিংকি: আব্রাহাম লিংকন।
শিক্ষক: ১৮১৯ সালে আব্রাহাম লিংকনের সাথে কী হয়েছিল?
পিংকি: তার ১০ বছর বয়স হয়েছিল স্যার।
পিংকির ট্যালেন্টের জন্য তাকে নোবেল প্রাইজ দেওয়া দরকার, হি হি হি ।🤪🤪
বাস্তব ঘটনা আমার জে এস সি পরীক্ষার, সিট যখন গার্লস স্কুলে।
কাকা: কিরে অংকন এখন আবার স্কুল ড্রেস পরে কোথায় যাস?
আমি: এইতো কাকু গার্লস স্কুলে যাব।
কাকা: সেই জন্য এত সেজেগুজে যাওয়া হচ্ছে। এবার ব্যাপারটা বুঝলাম।
আমি: কিন্তু আমি ব্যাপারটা বুঝলাম না কাকু!
কাকা: গার্লস স্কুলে অনেক মেয়ে থাকবে সাজুগুজু করে যাবি এটাই তো স্বাভাবিক।
আমি: আরে কাকু, গার্লস স্কুলে আমার ফাইনাল পরীক্ষার সিট পড়েছে, সেজন্যই তো যাচ্ছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত মেয়েদের সিট গুলা অন্য স্কুলে পড়েছে 😭😭😭
কাকা: গার্লস স্কুলে যারা পরীক্ষা দেয় তারা মেয়েই হয় সেজন্যই তো সাজুগুজু করে যাচ্ছিত।
কি বলবো কষ্টের কথা কষ্ট যে মনেই গাঁথা😭
বন্য কাকু🤣🤣
কিছু আর বলবো না 😭
সবখানেই দেখি বয়েজ স্কুলের পরীক্ষা গার্লস স্কুলে হয়। আর গার্লস স্কুলের পরীক্ষা বয়েজ স্কুলে হয় আহারে কি দুঃখ। 🤪🤪🤪
হ্যাঁ আপু গার্লস স্কুলে ছেলেরা পড়ে না কিন্তু পরীক্ষা ঠিকই দিতে হয়। শুধু স্কুলে না মহিলা কলেজেও ছেলেদের অনেক চাকরির পরীক্ষা দিতে হয়। সবই কপাল 😍😍
স্যাররা তো জানে যে এমনি এমনি ছেলেদের স্কুলে মেয়েরা,আর মেয়েদের স্কুলে ছেলেরা যেতে পারবে না। তাই পরিক্ষার সময় একটু চান্স দেয়।🤪🤪🤪