আমার বাংলা ব্লগ কবিতা উদ্যোগ || অণু কবিতার আসর - ৩২
আমার বাংলা ব্লগের নতুন উদ্যোগ- অনু কবিতায় সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা সম্পূর্ণ সৃজনশীল একটি উদ্যোগ, যেখানে সবাই নিজের ভেতরের প্রতিভাবে একটু ভিন্নভাবে ফুটিয়ে তোলার সুযোগ পাবে। নিজের মনের ভাবকে একটু ছন্দময় কিংবা সহজভাবে কাব্যিক রূপে প্রকাশ করতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতিদিন পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা নিয়ম মেনে অংশগ্রহণ করবে পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের দুই দিন যথাক্রমে শুক্রবার ও রবিবার দুটি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে লেখকের পছন্দ অনুযায়ী ৪/৬ লাইনের অনু কবিতা সংযুক্ত থাকবে। তার সাথে কবিতা সম্পর্কে লেখকের অনুভূতি থাকবে, যাতে ইউজাররা কিছুটা আইডিয়া নিতে পারে কবিতার বিষয়বস্তু সম্পর্কে। তারপর ইউজারদের কাজ হবে অনু কবিতার লাইনগুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে আরো ৪/৬ লাইনের অনু কবিতা লেখা।
এখানে একটা বিষয় অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে, শব্দের জটিলতা কিংবা অর্থের গভীরতা নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করতে হবে না বরং সহজভাবে আপনার মনের ভাবটাকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে এবং কবিতার বিষয়বস্তুর প্রতি লক্ষ্য রেখে কবিতাটিকে পূর্ণতা দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। আমরা কঠিন কিংবা দুর্বোধ্য শব্দ দেখবো না বরং আপনি কবিতাটিকে কতটা সুন্দরভাবে পূর্ণতা দেয়ার চেষ্টা করেছেন, সেটা দেখার চেষ্টা করবো। আশা করছি সবাই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। আমার বাংলা ব্লগের কবিতা উদ্যোগে সকলের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছি।
আজকের অনু কবিতাঃ
অতিথি পাখি নীড়ে ফেরে,
আপন জগৎ এর হাতছানি।
দীর্ঘ দিবস রজনী পেরিয়ে আপন জনের কোমল চাহনি,
ভুলিয়ে দেয় শত কষ্ট কিংবা সকল আহাজারির খনি।
জগৎ ঘুরে এসেছিনু ফিরে আপন জনের কাছে,
এক আকাশসম বিশাল আনন্দে মন যেনো মেতে উঠে।
বিদেশ বিভুই কতো শত পথ দিয়েছি এ জীবনে পাড়ি
নিজের নীড় আর শান্ত পরিবেশে ডুবেছি,
যন্ত্রণা সকল ভুলেছে আমার ক্লান্ত শরীরখানি।
লেখক
লেখক এর অনুভূতি:
পৃথিবীতে মানুষ যতো সুন্দর জায়গা কিংবা ভালো জায়গাতেই যাক কিংবা থাকুক না কেনো।নিজের ঘর,নিজের মানুষ ছাড়া কখনোই তৃপ্তিটা পাওয়া যায়না।নিজের ঘরে,নিজের পরিবেশে যে শান্তি রয়েছে তা কোথাও নেই।
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- উত্তরটি সর্বোচ্চ ৫০ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একবারই উত্তর দিতে পারবে।
- অন্যের উত্তর কপি করা যাবে না।
- উত্তর/কমেন্টটি অবশ্যই উপরের কবিতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে করতে হবে।
- এডাল্ট উত্তর/কমেন্ট দেয়া যাবে না।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
ছোট্ট নীড়ে ফিরেছো তুমি,
সবকিছু ফেলে এটাই আপন ভূমি।
ক্লান্ত জগতের ভাষা কাটিয়ে নতুনের জগতে,
সকল দুঃখ ভুলিয়ে নতুনভাবে আবদ্ধ মায়াতে।
পৃথিবীর ভ্রমণে অনেকটা সময় হয়েছে পার,
নিজ কুঠির ছাড়া বাকি সব যেন বৃথাই হয়েছে সার।
দেশ ভ্রমনের যাত্রাগুলি ছিল শুধুই অলসতা কাটানো
সব সুখ ,সব নিদ্রা আপন কুঠির মাঝে,
শান্তির বাণী শুধুই আপন জগৎ সংসারে।
মনের গহীনে লুকিয়ে রয়েছে ছোট্ট নীড়ের স্মৃতি,
পাখিরা যেন সেই টানে আসে গায় সুখেরই গীতি।
নাহিবা থাকিল রাজার রাজ্যে,থাকবে খড়ের ঘরে,
অশান্ত মনটা শান্ত হয় শুধু আপন নীড়ের তীরে।
আপন নিবাস আপন ভবনে
রয়েছিনু আমি মমতা নিয়ে
আজও সেই মমতার খোঁজে
দিয়েছিলে তুমি যা আমায় দুহাত ভরে।।
আপনাকে চাহিনা ভুলিতে চাহিনা সরাতে
যতদিন রবে গো মোর দেহ প্রাণ
এ ধরনীর বুকে।।
আপু আপনার লেখা কবিতার লাইন গুলো অসাধারণ হয়েছে। আপনি কিন্তু দারুণ লিখেছেন আপু। ছন্দের সাথে ছন্দ মিলিয়ে দারুণ কবিতা হয়েছে।
অতিথি পাখি নীড়ে ফেরে,
সুন্দর এই অনুভূতির তীরে।
দীর্ঘ সময় কাটানোর ভিড়ে।
সবাই যেন যাচ্ছে কুঁকড়ে।
জগৎ জুড়ে শীতল হাওয়া,
আকাশের দিকে তাকালে মেঘের খেলা।
উড়ন্ত সেই পাখিদের গুঞ্জন,
সকল অনুভূতিগুলো সত্যি চিরন্তন।
দিয়েছি কভু এত অক্লান্ত পরিশ্রম,
শেষে মিলবে কি মিলবে ফলাফল।
আকাশের দিকে চাহিয়া দেখি,
কতশত তারার মেলার খেল।
বেশ সুন্দর লিখেছেন, দারুণ ছন্দ ছিলো লাইনগুলোতে।
পরের ঐশ্বর্য আর বিলাসিতায় ডুবে
ব্যর্থ হয়েছে হৃদয় সুখ কামনা করে।
হাজার বছরের পথ পাড়ি দিয়ে নিজ মায়ার নীড়ে
ভঙ্গুর হলেও তা নিজের বলে প্রশান্তি মেলে।
আমি ঘুরেছিনু সহস্র শহর আর রূপের মেলা
মুখোশের আড়ালে সবই হলো যাদুর খেলা,
এ জগতে যদি প্রকৃত সুখ আর শান্তি থাকে
সে হলো নিজের গৃহ মমতার পরশ রহে।
আপনার কবিতাগুলো পড়া মাত্রই মুগ্ধ হয়ে যাই।এত সুন্দর করে লিখেন যা সত্যিই মনের মাধুরী মেশানো।
অনেক ধন্যবাদ আপু, সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য।
আপন গৃহ আপন ঘর আর আপন মানুষজন
সবকিছু মিলে যেন খুশির ভুবন।
একটু সুখের আশা আর ছোট ছোট আশা
মিশে আছে মনের মাঝে হাজারো ভালোবাসা
হাজার বছর খুঁজে সবাই সেই সুখের তীর
ভালোবাসায় ভরে থাকে সুখের ছোট্ট নীড়।
বাহ! অসাধারণ বলেছেন তো, দারুণ লেগেছে আমার কাছে।
অতিথি পাখি হয়ে ঘুরে বেড়াই দেশ দেশান্তর
সবাই আমার হয়তো আপন নয়তো কেহ পর।
আপন মানুষ খুঁজে ফিরি আপন এই দেশে
সবাই থাকে আপন হয়ে আপন সেই বেশে
আপন মানুষ পর হয়ে যায় সময়ের ব্যবধানে
সময় শুধুই দূরে নয় হয়তো কাছেও টানে
তবুও তাকে পেতে চায় এই পাগল মন
সুখ-দুঃখের সাথী শুধু তাকেই প্রয়োজন।
দেশ বিদেশে যেথায় আমি ঘুরি আর ফিরি
মনটা আমার পড়ে থাকে আমার মাতৃভূমি।
রং বেরঙের কত খাবার আমি খেয়ে থাকি
মায়ের হাতের রান্না আমি খুবই মিস করি।
গায়েঁর তেলে জ্বলে মানুষ হয়েছি আমি
সেই মাটির গন্ধ আমি কি ভুলিতে পারি।
কত ব্যান্ডের কত পারফিউম শরীরে আমি মাখি
সোনার চেয়ে দামি আমার কৃষক ভাইয়ের হাঁসি।