আমার বাংলা ব্লগ - একটু হাসি || কৌতুক সপ্তাহ - ২৮
আমার বাংলা ব্লগের আরো একটি নতুন আয়োজন- এবিবি একটু হাসি’তে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা একটু ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ, মনের উচ্ছ্বাসে প্রাণ খুলে হাসার আয়োজন। যেখানে সবাইকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহের একটা দিন একটু অন্য রকমভাবে কৌতুকের সাথে আনন্দ করার প্রয়াস চালানো হবে। নিজেকে একটু অন্য রকমভাবে প্রকাশ করতে হবে, সবাইকে নিজের কথায় কিংবা কৌতুকে মাতিয়ে রাখতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতি সপ্তাহে পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা এই আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার পরিচয় দিবে এবং মজার কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবে, পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের বুধবার এবিবি একটু হাসি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে প্রতি সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নির্বাচন করা হবে। আপনারা সেই বিষয়টির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে কৌতুক অথবা মজার কোন হাসির অনু গল্প শেয়ার করবেন। এখানে মূল উদ্দেশ্য থাকবে হাসি, এমন কিছু শেয়ার করতে হবে সবাই যেন প্রাণ খুলে হাসার সুযোগ পায়। সেটা আপনার নিজের হতে পারে কিংবা সংগৃহীত হতে পারে, তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মের ভিতর থাকতে হবে, যেন কপিরাইট এর বিষয়টি সামনে আসতে না পারে।
আমাদের জীবনে মজার নানা ঘটনা রয়েছে, যেখানে হাসির একটা বিষয়ও সংযুক্ত রয়েছে। যেগুলো স্মরণ হলে এখনো আমরা মনে মনে হাসি অথবা লুকিয়ে হাসার চেষ্টা করি। আমরা আড়ালে থাকা সেই বিষয়গুলোকে সম্মুখে আনতে চাই এবং সকলের সাথে তা শেয়ার করার মাধ্যমে একটু অন্য রকমভাবে দিনটি উপভোগ্য করতে চাই। কৌতুকের ব্যাপারে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কৌতুক মোটেও কপিরাইটেড না। তবে সেটা সংগৃহীত পুরনো কৌতুক হবে, যদি ক্রিয়েটিভ কৌতুক হয় যেটার লেখকের নাম জানা আছে সেটা কপিরাইটেড। আশা করছি বিষয়টি পরিস্কার এখন।
আজকের বিষয়ঃ
ঈদে/পুজোতে ঘুরতে যাওয়া নিয়ে মজার কোন কৌতুক বা হাসির অনু গল্প।
বিষয় নির্বাচনকারীঃ
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প সর্বোচ্চ ৭৫ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একটি কৌতুক/হাসির অনু গল্প শেয়ার করতে পারবে।
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প অবশ্যই উপরের বিষয়ে সাথে সামঞ্জস্য/সংযুক্ত থাকতে হবে।
- এডাল্ট কিছু শেয়ার করা যাবে না, তবে সকলের সাথে ভাগ করে নেয়া যায় সেই ধরনের কিছু শেয়ার করা যাবে।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
ঈদের কয়েক দিন আগে এক বন্ধু ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে কোনোমতে জীবন রক্ষা করে সুস্থ হয়ে উঠার পর এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা। বন্ধু বলল, ‘দোস্ত, চল ঈদের সময় রাস্তা থেকে ঘুরে আসি।’
‘না দোস্ত, আমি বাইরে যাব না, সমস্যা আছে।’
‘কেন? কী সমস্যা?’
‘ওই ট্রাকের পেছনে লেখা ছিল, ধন্যবাদ! আবার দেখা হবে!’
অনেক ট্রাকের পিছনে এটাও লেখা থাকে যে ভালো থাকবেন, আবার দেখা হবে। হা হা হা..
মানুষ মারার জন্য দেখা হবে ,☺️☺️
পুজার মেলায় ঘুরতে গিয়ে ভিড়ের ভেতর বউকে হারিয়ে ফেলল এক ভদ্রলোক তারপর
ভদ্রলোক: এই যে শুনুন।
ভদ্রমহিলা: বলুন
ভদ্রলোক: এখানে এসে আমি আমার স্ত্রীকে হারিয়ে ফেলেছি। আমি কি আপনার সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলতে পারি?
ভদ্রমহিলা: স্ত্রীকে হারিয়ে ফেলেছেন তো আমার সঙ্গে কথা বলতে চাইছেন কেন?
ভদ্রলোক: না মানে, আমি লক্ষ করেছি, যখনই আমি কোনো অপরিচিত নারীর সঙ্গে কথা বলতে নিই, তখনই কোথা থেকে যেন আমার স্ত্রী এসে হাজির হয়!
হা হা হা... এটা দারুন ছিল। অনেক সময় হাসলাম।😂
বিজয় ঈদের পরের দিন একটি পার্কে ঘুরতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হল। বিজয়ের স্বভাব হলো, সুন্দরী মেয়ে দেখলেই সুন্দরী মেয়েদের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকা। পার্কে যাওয়ার সময় বিজয় একটি খুবই সুন্দরী মেয়ে দেখল। তারপর সে সুন্দরী মেয়েটির মুখের দিকে তাকিয়ে সামনের দিকে এগোতে লাগলো। একটু যেতেই বিজয় পাকা কলার খোসায় স্লিপ করে মুখ থুবড়ে পড়ে গেল। বিজয়ের মুখটি পড়ল একেবারে এক থাবলা গোবরের উপর। বিজয়ের পড়ে যাওয়া দৃশ্য থেকে সুন্দরী মেয়েটি বলল, "এবার বাড়িতে গিয়ে আয়না দিয়ে নিজের মুখটি দেখো"।
আরে আর বলিয়েন না ভাই। ঈদের পরের দিন চন্দ্রিমায় ঘুরতে গেলাম। যেয়ে দেখি তো সব জোড়ায় জোড়ায়। আমরাও জোড়ায় জোড়ায়। কিন্তু সখ কয়েকটি ছবি তুলবো। যদি কেউ একজন তুলে দিতো। দেখলাম পাশে একজন হ্যান্ডসাম ছেলে তো তাকেই বললাম। বাপরে বাপ তার গার্ল ফ্রেন্ডের ধরম শুনে সে তো একটির বেশী আর পিক তুলতে পারলো না। কোন রকমে মোবাইলটা হাতে দিয়ে দৌড়। হি হি হি
একটা ছেলে তার গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে ঈদের দিন ঘুরতে গেল। তো হঠাৎ করে রাস্তায় হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়ে ছেলেটি জখম হলো। তার পা থেকে রক্ত বের হতে থাকলো। ছেলেটি মেয়েটির দিকে তাকিয়ে থাকলো। ভাবতে লাগলো সিনেমার মত এখনি তার গার্লফ্রেন্ড ওড়না ছিঁড়ে তার পাটা বেঁধে দেবে।
মেয়েটি তার বয়ফ্রেন্ডের চোখের ভাষা বুঝতে পেরে বলল, ‘জানু, প্লিজ এমনটা ভেবো না। এটা আমার ৯ হাজার টাকা দামের দামি লেহেঙ্গা,হা হা হা।🤣🤣🤣
এর থেকে প্রমাণিত হয় যে সিনেমার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। হা হা হা..
এক লোক ঈদের দিন ঘুরতে বের হলো।অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরে কোন রিক্সা না পেয়ে রেখেটেগে লাল হয়ে গেল।
এমন সময় সে একটি রিক্সা দেখে রিক্সাওয়ালাকে ডাক দিয়ে বলল,হে ভাই যাবে?
রিক্সাওয়ালা জিজ্ঞেস করল কোথায় যাবেন ভাই?
লোকটি বলল জাহান্নামে!
রিক্সাওয়ালা বলল, যাব ভাই, তবে ভাড়া ডাবল দিতে হবে। কারন আসার সময় তো কোন লোক পাবো না।
ছোটবেলায় একবার দিদির সাথে কালীপুজোর মেলা দেখতে গেছিলাম। মেলায় প্রচুর ভীরের কারনে সবসময় দিদির হাত ধরে মেলা দেখছিলাম। কিন্তু সমস্যা হলো মেলার ভীরের ভীতরে কখন যে ভুল করে অন্য একটা মেয়ের হাত ধরে হারিয়ে গিয়েছি নিজেই বুঝতে পারিনি। যখন বুঝতে পারলাম যে মেয়ের হাত ধরে আছি সেটা আমার দিদি না তারপর আস্তে করে হাতটা ছেড়ে দিয়ে আসল দিদির খোঁজ করতে থাকলাম। তারপরে দেখি দিদিও আমারে খুঁজতেছে। 🤓🙃😎
মেয়ে: মা, আমার ঈদের পরের দিন এক্সট্রা ক্লাস আছে।
মা: ঈদের পরের দিন কীসের ক্লাস?
মেয়ে: (ক্যামিস্ট্রি) রসায়ন ক্লাস, মা!
মা: তোর বাবা আর আমিও ভালো রসায়ন পারি!
মেয়ে: কই মা, আগে তো বলোনি?
মা: ক্যমিস্ট্রির এক্সটা ক্লাস করতে গিয়েই তো তুই হয়েছিস...
কেমিস্ট্রির এক্সট্রা ক্লাস তাহলে তো দেখি ভারি ভয়ংকর। 😅😅😅😅
বিদায় পৃথিবী😅😅😅
কেমিস্ট্রির এক্সট্রা ক্লাস সম্পর্কে না জানা আমার নিষ্পাপ মন। 🙃🤓😎
পুজোতে ঘুরতে যাওয়া নিয়ে আমার একটি মজার অভিজ্ঞতা রয়েছে সেটি আজ শেয়ার করব। গত বছর পুজোর অষ্টমীতে আমি বন্ধুদের সাথে বেরিয়েছিলাম কলকাতাতে পুজো দেখার জন্য। কলকাতার পুজো দেখতে দেখতে অনেক রাত হয়ে গেছিল । আমাদের পুজো দেখার একটা পর্যায়ে হঠাৎ করে লক্ষ্য করলাম আমরা গেছিলাম ১০ জন বন্ধু মিলে কিন্তু যখন খেয়াল করলাম তখন দেখলাম আমরা মাত্র আটজন একসাথে আছি। অন্য দুজনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের খুঁজে না পেয়ে সবাক হয়ে গেলাম । তারপর তাদের ফোন করে জানতে পারলাম তারা পুজো প্যান্ডেল দেখতে দেখতে হারিয়ে গেছে। এত বেশি বয়সে এসে তাদের মুখ দিয়ে হারিয়ে যাওয়ার কথা শুনে হাসতে হাসতে আমরা অন্য ৮ বন্ধু গড়াগড়ি দিচ্ছিলাম।