এবিবি ফান প্রশ্ন- ৩১৬ || সবাই ভালো রেজাল্ট করতে চায় কিন্তু কেউ পড়ালেখা করতে চায় না কেন?
আমার বাংলা ব্লগের নতুন উদ্যোগ- এবিবি-ফান এ সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি উদ্যোগ, শুধুমাত্র ভিন্নভাবে কিছু বিষয় নিয়ে আনন্দ উপভোগ করার জন্যই করা হয়েছে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতিদিন পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে অবশ্যই যারা নিয়মগুলো মেনে এই উদ্যোগের সাথে সংযুক্ত হতে হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতিদিন একটি প্রশ্ন শেয়ার করা হবে, বাস্তব বিষয় নিয়ে যা প্রতিনিয়ত আমরা আমাদের চারপাশে দেখে থাকি। তারপর সে প্রশ্নের উত্তরটি একটু ভিন্নভাবে দিতে হবে। আমরা প্রশ্নটির সঠিক উত্তর জানতে আগ্রহী নই কিংবা সঠিক উত্তরটি জানতে চাই না। বরং প্রশ্নটির ভিন্ন ধরনের এবং মজার কিছু উত্তর জানতে চাই। সুতরাং যে প্রশ্ন করা হবে, সেই প্রশ্ন সম্পর্কে আপনার নিজের ক্রিয়েটিভিটি, সৃজনশীলতা এবং মজার চিন্তা ভাবনা জানাতে হবে, যার ক্রিয়েটিভিটি যত বেশী আকর্ষণীয় ও মজার হবে, সে বিজয়ী হওয়ার ততো বেশী সম্ভাবনা তৈরী করতে পারবে। যেমন, প্রশ্ন করা হলো আকাশের রং কেন নীল? উত্তরগুলো এই রকম হতে পারে, আকাশের বউয়ের মন খারাপ, আকাশের বান্ধবীর পছন্দের রং নীল, এই রকম মজার মজার নানা ধরনের উত্তর দিতে পারবেন আপনারা। আশা করছি সকলের অংশগ্রহণে উদ্যোগটি সফলতা পাবে।
আজকের প্রশ্নঃ
সবাই ভালো রেজাল্ট করতে চায় কিন্তু কেউ পড়ালেখা করতে চায় না কেন?
প্রশ্নকারীঃ
প্রশ্নকারীর অভিমতঃ
আসলে মনের ভিতরে শয়তানী বুদ্ধি থাকলে, পড়ালেখা কি করে হবে। অন্যদিকে এমনিতে রেজাল্ট করলে ভাব দেখাতে তো পারবে।
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- উত্তরটি সর্বোচ্চ ৫০ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একবারই উত্তর দিতে পারবে।
- অন্যের উত্তর কপি করা যাবে না।
- উত্তর/কমেন্টটি অবশ্যই উপরের কবিতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে করতে হবে।
- এডাল্ট উত্তর/কমেন্ট দেয়া যাবে না।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
নিজের ভালো সবাই বুঝে।লেখাপড়ার সময় শয়তান চেপে দরে। শয়তান বলে লেখাপড়া করিস না, বেশি করে ফোন ব্যবহার কর। তাই বেশি ক্ষণ মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করতে মন চায় না। কিন্তু পরীক্ষার পর সবাই ভালো রেজাল্টের জন্য আশা করে। কারণ চাকরি করতে গেলে সবাই সার্টিফিকেট কে মূল্যায়ন করে মাথায় কি আছে তা দেখার সময় নাই।
সব কাজের মধ্যে পড়ালেখা সবচেয়ে কষ্টের কাজ,বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন ।কারণ এতে মস্তিষ্ক ব্যবহার করতে হয় ঘণ্টার পর ঘন্টা ।আর কে বা এই কষ্ট করতে চাই।মানুষ তো কত কিছুই চাই তার মধ্যে বিনা পরিশ্রমে ভালো রেজাল্ট এটাও একটা চাওয়া রয়েছে তাদের।
আরে এখনকার যুগের ছেলেমেয়েরা সবদিক দিয়েই এগিয়ে থাকতে চায়। তারা সারাবছর ১০০ টা প্রেম করে সেঞ্চুরিও করতে চায়,আবার রেজাল্টও ভালো করতে চায়। এতো প্রেম করলে পড়াশোনার টাইম পাবে কিভাবে। আপনারাও দেখছি বুঝেন না😂😂।
বিঃদ্রঃ কিছু কিছু প্রেমিক প্রেমিকারা ভালোবাসার মানুষদের জন্য ফাঁস হওয়া পরীক্ষার প্রশ্নপত্র যোগাড় করে দেয়। আহা কি ভালোবাসা রে,মায়া আর মায়া 🤣🤣।
ঠিক বলেছেন সেঞ্চুরি হা হা হা 🤭
আসলেই ভাই বর্তমানে ছেলেপেলেদের পড়াশোনার কোন টাইম নেই। সবার আগে ১০০টা প্রেম করতে হবে। 😁
কাজ না করে তার ফলাফল ভোগ করা আমাদের অর্থাৎ মানুষের একটা পুরাতন স্বভাব। এজন্যই সবাই ভালো রেজাল্ট করতে চাইলেও কেউ লেখাপড়া করতে চাই না হা হ।
ঠিক বলেছেন সবাই কাজ না করে ফল ভোগ করতে চায়।
বর্তমানে স্টুডেন্টরা পড়ার টেবিলে গেলেই, দুটো জিনিস করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। প্রথমত স্মার্টফোনটি হাতে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে ঢুকে যায়। দ্বিতীয়ত বইয়ের পৃষ্ঠায় ভালোবাসার মানুষের ছবি ভেসে ওঠে।এই দুয়ের টানেই আর পড়াশোনা করতে মন চায় না। আবার ভালবাসার মানুষগুলোর কাছে মাথা উঁচু করে, বুক ফুলিয়ে চলার জন্য ভালো রেজাল্ট করতে চায়।
কারণ বাঙালিরা এমনিই অলস তার উপরে এখন অনলাইনের যুগ।তাই সবাই ঘরে শুয়ে বসেই অনলাইনে পরীক্ষা দিয়ে ভালো রেজাল্ট করতে চায়,আর এটা হলেই বই মেলে ইচ্ছেমতো টুকলি করা সম্ভব।ফলে পড়ালেখা করার ঝামেলাও নেই।
কারণ পড়ালেখা করে যে গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে, এটা এখনকার সময়ের জন্য ভুল প্রবাদে প্রমাণিত হচ্ছে। যার কারণে সবাই ভালো রেজাল্ট করতে চায় কিন্তু কেউ পড়ালেখা করতে চায় না। 🤣😂
প্রত্যেক স্টুডেন্ট পড়ালেখা কে প্যারা মনে করে🤭। তারা পড়ালেখা তো করতে চায় না, কিন্তু ভালো রেজাল্টটা করতে চায়। কারণ রেজাল্ট যদি ভালো না হয় মান সম্মান আর কিছুই থাকবে না🤣🤣। অনেক সময় এটা দেখা যায় পাশের বাসার ছেলে অথবা মেয়ে যদি সিম ক্লাসের হয়, আর তার পরীক্ষার রেজাল্টটা যদি ভালো আসে, তাহলে পুরো এলাকায় মিষ্টি বিলাতে থাকে। আর এটা সবার কাছেই খারাপ লাগবে😫। তাই তো সবাই ভালো রেজাল্ট করতে চায় 😁।
এই সমস্যাটা আসলে করোনা আসার পর থেকেই বেশি হয়ে গেছে। করানোর সময় সবকিছু অনলাইনে হয়েছে। যার ফলে পড়াশোনা, পরীক্ষা সবকিছু অনলাইনে করেই সবাই অভ্যস্ত হয়ে গেছে। আর যেহেতু অনলাইনে পরীক্ষা হয়েছিল, সেই জন্য সবাই না পড়েই অনেক ভালো ভালো নাম্বার পেয়ে গেছে। আর এই অভ্যাসটা থেকে যাওয়ার কারণে সবাই এখন ভালো রেজাল্ট তো চায় কিন্তু পড়াশুনা করতে চায় না। সব দোষ এই করোনারই।
জীবনে পড়ালেখার চেয়ে ভালো রেজাল্ট প্রয়োজন কারণ আমাদের দিকে চেয়ে আছে পরিবার পরিজন প্রতিবেশী তাদের সেই চাওয়া পাওয়া পূরণ করাটাই হলো আমাদের লক্ষ্য। 🤩🤩