আমার বাংলা ব্লগ কবিতা উদ্যোগ || অণু কবিতার আসর - ১৫৪
আমার বাংলা ব্লগের নতুন উদ্যোগ- অনু কবিতায় সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা সম্পূর্ণ সৃজনশীল একটি উদ্যোগ, যেখানে সবাই নিজের ভেতরের প্রতিভাবে একটু ভিন্নভাবে ফুটিয়ে তোলার সুযোগ পাবে। নিজের মনের ভাবকে একটু ছন্দময় কিংবা সহজভাবে কাব্যিক রূপে প্রকাশ করতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতিদিন পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা নিয়ম মেনে অংশগ্রহণ করবে পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের দুই দিন যথাক্রমে শুক্রবার ও রবিবার দুটি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে লেখকের পছন্দ অনুযায়ী ৪/৬ লাইনের অনু কবিতা সংযুক্ত থাকবে। তার সাথে কবিতা সম্পর্কে লেখকের অনুভূতি থাকবে, যাতে ইউজাররা কিছুটা আইডিয়া নিতে পারে কবিতার বিষয়বস্তু সম্পর্কে। তারপর ইউজারদের কাজ হবে অনু কবিতার লাইনগুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে আরো ৪/৬ লাইনের অনু কবিতা লেখা।
এখানে একটা বিষয় অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে, শব্দের জটিলতা কিংবা অর্থের গভীরতা নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করতে হবে না বরং সহজভাবে আপনার মনের ভাবটাকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে এবং কবিতার বিষয়বস্তুর প্রতি লক্ষ্য রেখে কবিতাটিকে পূর্ণতা দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। আমরা কঠিন কিংবা দুর্বোধ্য শব্দ দেখবো না বরং আপনি কবিতাটিকে কতটা সুন্দরভাবে পূর্ণতা দেয়ার চেষ্টা করেছেন, সেটা দেখার চেষ্টা করবো। আশা করছি সবাই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। আমার বাংলা ব্লগের কবিতা উদ্যোগে সকলের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছি।
আজকের অনু কবিতা
কনকনে শীতের সোনালী সকাল,
কাটুক খেঁজুরের রসে ডুবে।
বিকেলের হিমেল হাওয়া,
কাটুক ভাপা পিঠা পুলিতে চেপে।
লেখক
লেখক এর অনুভূতি:
শীতে আসলে পিঠা পুলি সব ঘরে ঘরে হয় তাই ঠান্ডা অতিরিক্ত হলেও মেনে নেওয়া যায়।
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- উত্তরটি সর্বোচ্চ ৫০ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একবারই উত্তর দিতে পারবে।
- অন্যের উত্তর কপি করা যাবে না।
- উত্তর/কমেন্টটি অবশ্যই উপরের কবিতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে করতে হবে।
- এডাল্ট উত্তর/কমেন্ট দেয়া যাবে না।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
শীতের শীতলতা আর
পিঠে পুলির মেলা
ঘরে ঘরে শুরু হয়
পিঠে তৈরীর খেলা
খেজুর গুড়ে পাটিসাপটা
কিংবা ভাপা পিঠে
খেতে ভারী মিঠে।
বিকেলের শুভ্র হাওয়া
আর গরম গরম পিঠে
হৃদয় আমার বলে ওঠে
আহ! কি মিঠে, কি মিঠে।
আসলেই আপু শীতের সময় ঘরে ঘরে পিঠা তৈরির উৎসবে মেতে ওঠে। আপনার অনু কবিতাটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
সকালের মিষ্টি রোদে,
জেগে ওঠে দুধ পুলি সাথে।
শীতের মিষ্টি রোদে,
সূর্য মামাকে তাই খুব ভালো লাগে।
শীতে পিঠার মিষ্টি স্বাদে,
জামাই বাবু এসেছে শশুড় বাড়িতে।
নানা রকমের পিঠার সাজে,
জামাই বাবু তাই আনন্দে মেতে ওঠেছে।
খুবি সুন্দর হয়েছে,
ধন্যবাদ
ওয়াও ভাই বেশ দারুন লিখেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাই।
শীতের হাওয়া লাগলে গায়ে,
মনটা আমার আনন্দে ভাসে,
তাইতো সকালবেলা উঠে,
বন্ধুদের সাথে যাই খেজুর রস খেতে।
নানা রকম পিঠার উৎসবে,
মেতে উঠি আমরা সকলে,
দুধ পলি পিঠার স্বাদে,
শীতকে বরণ করি তাই আপন মনে।
অসাধারণ মিলিয়েছেন
নিরুত্তাপ সূর্যের গড়িয়ে বিকেল,
বয়ে আনুক কনকনে শীতের আমেজ।
পিঠা পুলি আর নবান্নের ধুমে,
জেগে উঠুক বাঙালি প্রানের উৎসবে।
কাকভোর শীতল কুয়াশায়,
গরম খেজুর রসে চুমুক আস্বাদনতায়।
ফুরফুরে ঠান্ডা বাতাসে,
সন্ধ্যাটা দিব্যি কাটে পিঠাপুলির মাসে।।
দিদি আপনার অনু কবিতা গুলো সব সময় আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। অনেক সুন্দর লিখেছেন এই অনু কবিতাটি। শীতের মাসে পিঠাপুলি সত্যিই অনেক ভালো লাগে।
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা,উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
শীতের মাঝে ভালো লাগা কাজ করে সদায়।
শীত আমার ভালোলাগা,তাই চাই না হোক বিদায়।
শীত মানে হরেক রকম পিঠার সমাহার
শীত মানে মন্ডা মিঠাই আরো কত কিছুর বাহার।
কুয়াশাচ্ছন্ন সকালটা কাটে আমার,
খেজুরের রসের চুমুকে।
সারাটা বিকেল ডুবে থাকি আমি,
হরেক রকমের পিঠার স্বাদে।
শিশির ভেজা সকাল বেলায় খাইতে
ভীষণ ভালো লাগে খেজুর রস ।
সারাটা দিন হাড়ি ভরে খেজুর রস দিয়ে,
শীতের পিঠা খেজুর রস ছাড়া যেন জমে না।
গরম গরম ভাপা পিঠা,
খাব মিষ্টি রোদে বসে।
শীতকে বলবো এখন চলে যা,
এসেছি সূর্য মামার কোলে।
এখন আমরা রোদ তাপাবো,
বন্ধুরা সবাই মিলে।
একসাথে খাবো মোরা,
শীতের পিঠা আনন্দও হই হুল্লোর মাঝে।
ঝলমলে রোদ উঠেছে
শীতের পিঠা খাবো বসে
সন্ধ্যার কনকনে শীতে
পাটিসাপটা খাবো চাদর গায়ে জড়িয়ে।