"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল - রাউন্ড #১০ [তারিখ : ১২-০৭-২০২৩]
Banner Credit @alsarzilsiam
০২ মে ২০২৩ থেকে "আমার বাংলা ব্লগের" একটা নতুন ইনিশিয়েটিভ আজকের ফিচারড আর্টিকেল চালু করা হয়েছে । এই উদ্যোগটি এখনও অব্দি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মেই একদম নতুন ও ইউনিক । কি এই "আজকের ফিচারড আর্টিকেল" ? আসুন জেনে নেওয়া যাক ।
"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল : আমার বাংলা ব্লগে প্রতিদিন নতুন নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়ে থাকে । অলটাইম এভারেজ ১৭০ জন রাইটার এক্টিভলি আর্টিকেল লিখে চলেছেন প্রতিদিন । এত এত আর্টিকেলের মধ্যে থেকে বেছে নিয়ে প্রত্যহ ফিচারড আর্টিকেল হিসেবে একটি আর্টিকেলকে আলাদা করে পাবলিশ করা হবে আমাদের কমিউনিটির নতুন একটি একাউন্টে । যেহেতু, হুবহু অন্যদের আর্টিকেল স্টিমিটে আলাদা অন্য আর একটি একাউন্টে পাবলিশ করার নিয়ম নেই তাই আমরা ফিচারড আর্টিকেলের কিছু অংশবিশেষ নিয়ে আলোচনামূলক পোস্ট করবো । সেই সাথে থাকবে সেই সকল ফিচারড আর্টিকেলের রাইটারদের নাম, আর্টিকেলের নাম ও আর্টিকেল পোস্টের লিংক । এডিশনালি আমরা ছোট্ট একটা পিডিএফ পাবলিশ করবো প্রত্যেক মাসের প্রথম রবিবারে । এই পিডিএফ -এ থাকবে বিগত এক মাসের সবগুলি ফিচারড আর্টিকেল ।
"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল রাইটার - @saymaakter
অথর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ
অথরের নাম- মোছাঃ সায়মা আক্তার।
জাতীয়তা বাংলাদেশী।
শখ-
তিনি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা। কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে উনার অনেক ভালো লাগে। তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেন তিনি। স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ার - ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে জয়েন করেছেন।
এক নজরে তাঁর বিগত সপ্তাহের পোস্টগুলি :
"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল :
আমার অনুভূতি |||| কাউকে কষ্ট না দিয়ে সহযোগী হই সবার। by @saymaakter by.• ১২ July 2023||
আমার বাংলা ব্লগে প্রতিনিয়ত আমাদের নিজেদের অভিজ্ঞতা, কর্মদক্ষতা ও জীবনের চরম সত্য কিছু বাস্তবতা তুলে ধরছি। একই ঘটনা কিন্তু আমাদের সকলের সাথে ঘটে না কিংবা একই জিনিস আমরা সকলে মিলে একসাথে দেখতে পারি না। আমার কর্মদক্ষতা যেমন আলাদা ঠিক তেমনি আমাদের একেক জনের অভিজ্ঞতাও আলাদা আলাদা। আর আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে কিংবা অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা একেক জনের কাছ থেকে একেক রকমের অভিজ্ঞতা অর্জন করে থাকি। এই কথা গুলো বলার কারণ হলো সায়মা আপুর এই পোস্টটি। কারণ এই পোস্ট থেকে আমরা নতুন কিছু জানতে পারলাম ও নতুন কিছু শিক্ষার বিষয় এখানে রয়েছে।
আজকে যে সাব অফিসে গিয়েছিলাম সেখানে আমার প্রায় ২৫ জন অবহেলিত মহিলা একসঙ্গে বসে কাজ করে। তাদের ভিতর ২জন তৃতীয় লিঙ্গের বা হিজরা আপু কাজ করেন।
শুরুতেই আমি এই ছোট বিষয়টা নিয়ে একটু কথা বলি। এখানেই আমাদের অনেক কিছু শিক্ষার আছে। আমাদের চারপাশে এমন অনেক অবহেলিত মহিলা কিংবা পুরুষ আছে বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে। যারা খুব কষ্ট করে দিন পার করে। কখনো এক বেলা খেতে পারলে আবার দু বেলা উপোষ থাকতে হয়। কিন্তু এদের দেখার মতো মানুষ থাকে না। চারপাশে অনেক বড় বড় টাকাওয়ালা মানুষ ঠিকই আছে কিন্তু তাদের চোখ কখনো নিচে নামে না। সেই মানুষ গুলো শুধু বড় বড় বাড়ি কিংবা গাড়ি নিয়ে অনেক ব্যাস্ত থাকে, যার কারণে এদের মতো অসহায় কিংবা অবহেলিত মানুষের কাছে আসার সময় হয় না। সায়মা আপুর মতো এমন কিছু মানুষ আছে বলে হয়তো তারা এখনো সমাজে টিকে আছে কিংবা বেঁচে আছে। আর সমাজের সবাই যদি সায়মা আপুর মতো হতো তাহলে হয়তো আমাদের সমাজ আরো অনেক দূর এগিয়ে যেত।
কিন্তু এই দুই আপু যখন কাজে আসেন তখন গ্রামের কিছু ছেলেরা তাদেরকে খারাপ কথা বলে, শিশ কাটে এবং উপহাস মূলক কথা বলে।যার কারণে এই দুইজন আপু খুব অস্বস্তি বোধ করে এবং তারা ঘর থেকে বের হয়ে আসতে চায় না।
এখানে আমাদের সমাজের কিছু যুবকের কথা না বললেই নয়। আমরা সাধারণত এটা জানি তৃতীয় লিঙ্গের কিংবা হিজরা ব্যক্তিরা রাস্তায় রাস্তায় টাকা উঠায় ও তাদের একটা নিজস্ব সংঘটন রয়েছে। কিন্তু এখানে যে দুই আপুর কথা বলা হয়েছে তারা নিজ থেকে কিছু করার চেষ্টায় তাদের শ্রম ও মেধা দিয়ে কাজ করছে। আর এখানেও এলাকার কিছু যুবকদের উপহাস মূলক কথা শুনতে হচ্ছে। আমার ধারণা অনুযায়ী যারা বেকার কিংবা এলাকার বখাটে ছেলে তাদের দ্বারা এসব কাজ করা সম্ভব। আবার শিক্ষা মানুষকে আলোকিত করে তোলে। নিজেকে নতুন ভাবে প্রতিনিয়ত জাগিয়ে তোলে। আর এই শিক্ষার আলো যার মধ্যে আছে ও কর্মব্যস্ততার মধ্যে যারা ডুবে আছে তাদের দ্বারা অন্তত এই কাজ কখনোই সম্ভব নয়। তাই নিজেকে যত বেশি ব্যাস্ত কিংবা কর্মরত করা যায় ততই ভালো। আর একজন কর্মশীল মানুষ আরেকজনের কর্মের মূল্যায়ন দিতে পারে।
একটি বিষয় ভালো লেগেছে যে তাদের অভিভাবকেরা আমাকে অনেক ধন্যবাদ জানিয়েছেন। যে তাদের এই মেয়েরা ঘর থেকে আগে বের হতো না, কারো সামনে যেত না,সবসময় নিজেকে গুটিয়ে রাখতেন। অথচ আমার জন্যই তারা নাকি আজকে ঘর থেকে বের হচ্ছে, ইনকামের মধ্যে ঢুকেছে এবং পরিবারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার জন্য তারা একজন স্বাভাবিক মানুষের মত কাজ করে যাচ্ছে।
এই লেখাটি পড়েন, দেখবেন কয়েক সেকেন্ডে পড়া শেষ ? কিন্তু আপনি কি বুঝতে পারছেন কথাটা কতটা দামি ও মূল্যবান। আমাদের এখান থেকেই জীবনের অনেক শিক্ষার ও বুঝার রয়েছে। আমাদের সমাজে যদি প্রতিটি ঘরে ঘরে সায়মা আপুর মতো এমন একজন করে উদ্দ্যোক্তা থাকতো তাহলে আমাদের চারপাশে কোনো অসহায় ও অবহেলিত মানুষ থাকত না। নিজে ইনকাম করে নিজেকে নিয়েই জীবন পার করে দেয়াটা প্রকৃত সুখ না। আসল সুখ সেখানেই লুকিয়ে আছে যারা নিজে থেকে ওপরের উপকার করে আর ওপরের ভালোবাসা পেয়ে থাকে। অসহায় অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে যে ভালোবাসা পাওয়া যায় সেটা কতটা দামি ও আনন্দের একমাত্র যে পায় সেই বুঝে ।
তাই আমি সমাজের ওই দুষ্ট কিছু লোকদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই।মনটাকে সব সময় আকাশের মত বিশাল ভাববেন এই পৃথিবীতে আমরা এসেছি মাত্র কয়েকটি দিনের জন্য। আর এই কয়েকটি দিনে ভালো কিছু করে যেতে পারলে সেটাই পৃথিবীর বুকে থেকে যাবে।
উনার এই সুন্দর কথার সাথে আমরা সবাই একমত। কারণ মানুষ মাত্রই মরণশীল ও এই পৃথিবীর মেহমান। আমরা কেউ এই প্রথিবীতে থাকতে আসিনি তবে হ্যা, আমাদের ভালো কাজ, ভালো কথা , ভালো কর্ম আমাদেকে বাঁচিয়ে রাখে চিরদিন। তাই সবসময় মন থেকে চেষ্টা করবো মানুষের উপকার করার কিন্তু যদি উপকার করার ক্ষমতা না থাকে অন্তত অপকার করবো না ও কোনো ভাবেই কারো মনে কষ্ট দিব না। আবারো একটা কথা বলছি অন্যের উপকার করে কিংবা সাহায্য করে যে সুখটা পাওয়া যায় সেটাই হলো প্রকৃত সুখ।
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাতে চাই সায়মা আপুর এই পোস্টটি ফিচার্ড আর্টিকেল হিসেবে বাছাই করার জন্য। আপুর পোস্ট গুলো আমি প্রায়ই পড়ে থাকি। যদিও এই পোস্টটি এখনো পড়া হয়নি। যাইহোক দিনশেষে ওরাও মানুষ। তাই এইসব কথা বলে কাউকে কষ্ট দেওয়া মোটেও ঠিক না। সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি।
সায়মা আপুর লেখা সত্যিই অসাধারণ। লেখাটা পড়ে কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিলাম। আসলে আমরা যদি মানবিক না হই তাহলে আমাদের চারপাশের মানুষগুলো কখনো ভালো থাকতে পারবে না। দারুন একটি পোস্ট নির্বাচন করা হয়েছে দেখে সত্যিই ভালো লাগলো।
একজন মানুষ প্রিয় হয় তখনি যখন তার কথাবার্তা,চলাফেরা এবং সিদ্ধান্ত সবকিছুতেই ১০০ তে ১০০% কোয়ালিটি সম্পূর্ণ হয়। আর আমাদের @rme দাদা ঠিক তেমনি একজন মানুষ,তাই @rme দাদা আমার বাংলা ব্লগের প্রত্যেকটি ব্লগারের নয়নের মনি এবং প্রিয় মানুষ।তাই এমন একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে প্রতিটি ব্লগারের কাজ করার আগ্রহ অনেক অনেক গুণ বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য @rme দাদাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।