"উল্টো রথের মেলায় কাটানো কিছু সুন্দর মুহূর্তের গল্প"
![]() |
---|
Hello,
Everyone,
কেমন আছেন আপনারা সকলে?
আশা করছি প্রত্যেকে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলেরই আজকের দিনটি খুব সুন্দর ভাবে শুরু হয়েছে।
সকাল থেকেই আজ বৃষ্টি হয়ে চলছে, আবহাওয়া দেখে মনে হচ্ছে না সারাদিনে আজ সূর্য মামার দেখা পাওয়া যাবে। কেমন যেন নিম্নচাপের দিনগুলোর মত মতন মেঘলা আকাশ।
যাইহোক আজকে আমি আপনাদের সাথে রথের মেলায় ঘুরতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা ও কিছু আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করবো। এ বছর রথের দড়ি টানার ভীষণ ইচ্ছে ছিলো এবং ইচ্ছে পূরণ করার জন্য আমি রথের দিন ঘন্টা খানেকের জন্য, আমার বাপের বাড়ি কাছাকাছি একটি ইসকনের রথ বেরোয় সেখানে গিয়েছিলাম। যার গল্প আমি আপনাদের সাথে পূর্বের একটা পোস্ট শেয়ার করেছিলাম।
![]() |
---|
সেদিন শুধু রথের দড়ি টেনে, কিছুদূর পর্যন্ত রথের সাথে গিয়ে, আমি ট্রেন ধরে বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। মেলা ঘোরার সেদিন সময় ছিল না। আর উল্টো রথের দিন ও মেলায় যাবো এমনটাও ঠিক ছিল না। আসলে দাদাকে অর্থাৎ আমার জামাইবাবুকে চেকআপের জন্য হসপিটালে নিয়ে যেতে হয়েছিলো, যার জন্য আমি শুক্রবার দিদিদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। আর শনিবার দিন ছিল উল্টোরথ।
![]() |
---|
![]() |
---|
আমি সকালের দিকেই চলে আসবো এমনটাই ঠিক ছিলো। কিন্তু তিতলি ও তাতানের জন্য আমার আর আসা হয়নি। তাদের সেই একই বায়না মেলায় নিয়ে যেতে হবে। দিদিদের পাশের বাজারে সারা বছর যেন মেলার মত জমজমাট থাকে। কিন্তু বাচ্চাদের মন সে সব বুঝতে পারে না। তারা রথের মেলাতে যাবে এটাই তাদের আনন্দ। তাই সন্ধ্যার পর ডিসকর্ডে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সারার পর, আমরা তৈরি হয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম তিতলি ও তাতানকে নিয়ে।
![]() |
---|
কিছুদূর যাওয়ার পরে ফাঁকা রথ চোখে পড়লো এবং তার পাশে মানুষের লম্বা লাইন। কারণ সেখানে রথ উপলক্ষে খিচুড়ি প্রসাদ দেওয়া হচ্ছিলো। বৃষ্টির কারনে রাস্তায় জল কাঁদাও ছিলো। তার মধ্য থেকে কোনোভাবে সাইট কেটে আমরা রথের কাছে গেলাম। সেখানে আশীর্বাদে ফুল পেলাম, তবে খিচুড়ির লাইনে আমরা আর দাঁড়াইনি। কারণ বাচ্চারা অতক্ষণ ধৈর্য্য ধরে দাঁড়াতে পারবে না।
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
এরপর আমরা সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম। দিদি ওর ঘরের জন্য কতগুলো ইনডোর প্ল্যান্ট কিনবে এমনটাই ঠিক করেছিলো। আর গাছ কেনার জন্য রথের মেলার থেকে ভালো অপশন কি হতে পারে। এখন অবশ্য অনেক নার্সারিতে বিভিন্ন গাছ পাওয়া যায়, কিন্তু রথের মেলাতে অনেক ধরনের গাছ পাওয়া যায়, তাই সেখান থেকে গাছ দেখে শুনে কেনা যায়।
![]() |
---|
তাই প্রথমেই আমরা পৌঁছে গিয়েছিলাম একটা গাছের দোকানে। সেখান থেকে দিদি পছন্দ করে তিনটা গাছ কিনলো। ওদের বাড়িতে সাদা ফুলের গাছ নেই, তাই পরে আরও একটা সাদা ফুল গাছ ওরা কিনেছিলো। তিতলিরা কিছুতেই ওখানে বেশিক্ষণ দাঁড়াতে চাইছিল না। তাই আমি ওদেরকে নিয়ে আরও একটু সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম। সেখানে ওদেরকে দু একটা ছবিও তুলে দিলাম।
![]() |
---|
![]() |
---|
গাছ কেনার পর দিদিদের ইচ্ছে ছিলো ছোট ছোট কয়েকটা টব কিনবে। সেই মতো একটা দোকানে গিয়ে টবের দাম শুনে অবাক হয়ে গেলাম। কারণ অনলাইনে এই টবের দাম অনেকটাই কম, কিন্তু দোকানদার অনেকটাই বেশি দাম চাইছিলো। তাই দিদি সেখান থেকে টব না কিনে বাড়ি এসে অনলাইনে পরে অর্ডার দিয়েছিল।
![]() |
---|
![]() |
---|
যাইহোক গাছগুলো যে প্লাস্টিকের টবে ছিল আপাতত সেইগুলোতে রাখা আছে। অনলাইনে অর্ডার দেওয়া টবগুলো এলে ওরা আবার গাছগুলোকে টব পরিবর্তন করে রাখবে। কারণ দিদি সেরামিকের টব অর্ডার দিয়েছে অনলাইনে। তাতে গাছ ভালো থাকে।
মেলা থেকে ফেরার পথে আমরা সকলে মিলে একটা রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করেছিলাম। রেস্টুরেন্টটা দিদিদের ওখানে নতুন খুলেছে। আসলে এই রেস্টুরেন্টের একটা শাখা আগে থেকেই ছিলো, তবে এটি নতুন করে খুলেছে যেখানে শুধুমাত্র নিরামিষ খাবার পাওয়া যায়।
দিদি এখন বাড়িতেও নিরামিষ খায়। তাই বাইরে খেতে যাওয়া খুব একটা হয় না। আর এইরকম ভাবে শুধুমাত্র নিরামিষ রেস্টুরেন্ট খুব একটা চোখে পড়ে না।তাই এটা খুলে মোটামুটি ভালোই হয়েছে। এর আগেও ওরা একদিন খেতে গিয়েছিলো।
আমি যদিও এই দিন প্রথম গিয়েছিলাম। সেই অভিজ্ঞতা পরের কোনো একটা পোস্টে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আজকের লেখা এখানেই শেষ করছি। এই বছর আপনাদের সকলের রথ কেমন কাটলো অবশ্যই জানাবেন। প্রত্যেকে ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
Thank you for your support @crismenia. 🙏