আজকের বৃষ্টিস্নাত কিছু মূহূর্ত।
![]() |
---|
Hello Steemians,
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ, সময়মতো বৃষ্টি হওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নচেৎ কৃষকেরা খুব বিপদে পড়ে যায়। তবে অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না। আমার তো রীতিমতো বিরক্তই লাগছে। আগামীকাল বোনের পরীক্ষা, এই বৃষ্টির মধ্যে যাওয়া আসাটা খুব কষ্টকর।
![]() |
---|
বিগত সাতদিন ধরে আমি বাজারে যাই নি, এটা নিজের কাছে অবিশ্বাস্যই মনে হচ্ছিল। যাইহোক, প্রায় গোধূলি লগ্ন তখন ছোটভাই নয়ন কল করে বললো আমাদের বন্ধুরা বাজারে এসেছে। অন্যদিকে আমিও প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম লিচু কেনার উদ্দেশ্যে বাইরে যাওয়ার জন্য। আমি একটু দ্রুত ছাতা নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।
ওহ! কি বিরক্তিকর বৃষ্টি? থামছেই না।
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
বৃষ্টিস্নাত রাস্তায় অনেক দিন পরে একটি শান্তি মতো হাঁটতে পারছিলাম। অন্য সময় বাইক ও অন্যান্য পরিবহনের কারণে রাস্তা দিয়ে হাঁটাই যায় না ঠিকভাবে। রাস্তার প্রস্থ কম হওয়ায় পরিবহন ক্রসিং এ খুব ঝামেলা হয় এবং মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে আবহাওয়া অন্যরকম থাকায় আজকে রাস্তায় লোকজন কমই ছিল। পাশাপাশি কোনো পরিবহনও দেখা যাচ্ছিল না।
রাস্তার পূর্বপাশে শুধু জল আর জল যেখানে বড় বড় জলকরে (ঘের) মাছ চাষ করা হয়। তবে এগুলো অনেক ছোট কারণ বিগত কোনো এক সরকারের আমলে জমি যার ঘের তাঁর এরকম একটা আইন প্রচলিত হয়েছিল। যে কারণে দখলে থাকা ক্ষমতাশীল মানুষের থেকে যে যার জমি বুঝে নিয়েই মাছ চাষ শুরু করেছিল।
এই জলকরের অপর পাশেই খাল বা নদীর একটা শাখা যে কারণে এই জলকরে জোয়ার ভাটার জল সরবরাহ করে। তবে জোয়ার ভাটার জল সরবরাহ করলে জলকরের জল মাছ চাষের উপযোগী থাকে। অন্যদিকে বদ্ধ জায়গার পুকুরের মতো সহজে বন্যা প্লাবিত ও হয় না।
এই মুহূর্তে বৃষ্টির লক্ষণ একদমই ভালো না। যদিও এই সময় বৃষ্টি হলে ভালো হয় কারণ ধানের বীজ বপনের সময় এটা। তবে এতটা বৃষ্টি হচ্ছে যে বীজ বপনের মাঠ হয়তো জলের কারণে আর বীজ বপনের উপযুক্ত থাকবে না। এমনকি বন্যায় প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা বেশি মনে হচ্ছে। ইতিমধ্যে জোয়ার ভাটার জল সরবরাহ করা পুকুরের জলের অবস্থা ও ভয়াবহ।
![]() |
---|
![]() |
---|
আমরা বাজারে পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই বৃষ্টি আরো জোরেসোরে পড়তে শুরু করেছিল। আড্ডা দেওয়া তো দূরের কথা দোকানের বাইরেই বেরোনো যাচ্ছিল না। চারদিক যেন অন্ধকার আচ্ছন্ন পরিবেশ নেমে এসেছিল। কি আর করা? সকল উদ্দেশ্য বানচাল এই অতিরিক্ত বৃষ্টির জন্য।
এই বৃষ্টির জন্যই বাজারে ঐ মূহুর্তে লোককজন খুব কমই ছিল। পাশাপাশি অনেক দোকান ও বন্ধ। কিছুক্ষণ সকলে মিলে আড্ডা দিলাম। আমার খুব শীঘ্রই একটা মোবাইল নিতে হবে সেইটার জন্যই সকলকে একত্রিত করেছিলাম। কারণ বর্তমান দোকানে গিয়ে হুটহাট মোবাইল কেন আর বোকামি করা একই কথা। ভাবতেছি আমাদের দেশের IOS ভার্সনের একদম আপডেট মোবাইটাই নিবো। কিন্তু এটাতে চার্জিং এ বেশ সমস্যা রয়েছে যেটা অনেকের কাছেই শুনেছি। যাইহোক এই বৃষ্টির কারণে চারপাশ যেন কেমন কেমন লাগছিল, তাই কথা না বাড়িয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সারার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।
![]() |
---|
এই আবহাওয়ায় গরম গরম পিঁয়াজু কার না ভালো লাগে তবে সন্ধ্যা ইতিমধ্যে তাই দ্রুত প্যাকিং করে নিয়েছিলাম।
আপনারা বৃষ্টির দিনে কে কি খেতে পছন্দ করেন?
এই আবহাওয়ায় আমি হাঁসের মাংস খেতে ভীষণ পছন্দ করি।
আজ ও আছে আমাদের বাড়িতে, সকলের জন্য নিমন্ত্রণ রইলো।
এই অতিরিক্ত বৃষ্টি দেখে এ কারণেই ভয় লাগছে যে আমাদের না বরং সকলের পুকুরের মাছ বিগত বছরের মতো বেরিয়ে যাবে। আমার পুকুরে এই বছর আমি নিজেই মাছের পোনা ছেড়েছি প্রায় বি ডি ৭০০০০৳ এর মতো যেটা কম না। তাছাড়া মাছের বৃদ্ধি ও ভালো দেখা যাচ্ছে।
যদিও বৃষ্টির মূহুর্ত উপভোগ্য কিন্তু দুশ্চিন্তা ও হচ্ছিল। যাইহোক, আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
SPOT-LIGHT TEAM: Your post has been voted on from the steemcurator07 account.
Thanks a lot team @muzack1
গ্রামের তুলনায় ঢাকাতে বৃষ্টি খুবই কম হয়। এটার কারণ হয়তো গাছপালার সল্পতা । আকাশে ঘন কালো মেঘ জমে ঠিকই কিন্তু গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি নেমেই চলে যায় । তবে মাঝে মাঝে বেশ ভালোই বৃষ্টি হয়। কিন্তু এবার বেশ ব্যাতিক্রম দেখতে পাচ্ছি। কিছুক্ষন পর পরই বৃষ্টি হচ্ছে সেই সাথে মেঘলা আকাশ, যা আমাকে আমার ছোট বেলার স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছে।
বৃষ্টির দিনে ভাজাপোড়া খেতে ভালোই লাগে। যারা মাছ চাষ করেন তাদের জন্য অতিবৃষ্টি বেশ আতঙ্কের। আমাদের নিজেদের পুকুরেও দেখতাম মাছ বের হয়ে যেত। চারপাশ জাল দিয়ে ঘিরেও রাখতে পারতো না।
তবে এই টানা বৃষ্টির মাঝেও যে কিছুটা সময় বাইরে গিয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়েছেন এটা জেনে ভালো লাগলো।