বাড়ি ফেরার পালা
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে আশা করছি সকলেরই ভালো লাগবে।
আপনারা প্রতি নিয়ত যারা আমার পোস্ট করে থাকেন তারা হয়তো সকলেই জেনে থাকবেন আমি আমার বোনের মেয়ের জন্মদিনে গিয়েছিলাম বাপের বাড়িতে। তবে জন্মদিনের পোস্ট এখনো দেওয়া শেষ হয়নি। ইতিমধ্যে আজকে আমি আমার নিজের বাড়িতে ফিরে এসেছি। অনেকেই বলে মেয়েদের নাকি নিজস্ব কোন বাড়ি হয় না। এক বাপের বাড়ি আর এক শ্বশুর বাড়ি। কিন্তু আমি আমার শ্বশুর বাড়িকে নিজের বাড়ি মনে করি। আমি সকলকেই বলি এটা আমার বাড়ি। যাইহোক প্রত্যেকটা মেয়েদেরই বাপের বাড়ি আর শ্বশুরবাড়ির মধ্যে অনেক পার্থক্য থাকে।বাপের বাড়িতে থাকার মজাই আলাদা। আবার শ্বশুরবাড়ি থাকার মজা অন্যরকম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বাপের বাড়ি থেকে ফেরার পালা। গত দুদিন ধরেই চার বোন একসাথে হয়ে সকলের সাথে খুব মজা ,আনন্দ করে দিন কাটিয়েছিলাম। তবে সব আনন্দের মাঝে দুঃখ থাকবেই।
তবে আজকে বাড়ি ফিরতে হবে এটা ভেবেই সকাল থেকেই মনটা ভীষণ খারাপ করছিল। মায়ের যেমন আদরের শেষ থাকে না ।তেমনি মেয়েদেরও মায়ের আদর- ভালোবাসা ছেড়ে আসতে একদম ইচ্ছে করে না। সকাল থেকেই চলছিল গোছগাছ বাড়ি আসবো বলে। বাপের বাড়িতে সবসময় যায় খালি হাতে। কিন্তু আসার সময় মা কিছু না কিছু হাতে ধরিয়ে দেয়। ঠিক তেমনই এখন বর্ষাকাল চলছে বাড়ি থেকে বিভিন্ন রকমের ফুল গাছের চারা, ফল গাছের চারা সমস্ত কিছু নিয়ে এসেছিলাম। যেহেতু আমি গাছ লাগাতে ভালোবাসি।এ ছাড়া কাছেই ছোট বোনের বাড়ি। বোন বাড়ি থেকে পাতি লেবু, কাঁচা কলা, পেঁপে সমস্ত কিছু দিয়ে দিয়েছিল। আমার মতো বোনের বর ও গাছ লাগাতে ভীষণ পছন্দ করে। গ্রামের টাটকা সবজি খেতে ভালোই লাগে। আর আমি যখনই যাই তখনই কোন না কোন সবজি বাড়ির জন্য নিয়ে আসি। সকাল থেকে ওয়েদার ভীষণ খারাপ ছিল।সকাল বেলায় হঠাৎ ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। ভেবেছিলাম হয়তো আসতেই পারব না। কারণ এখন সারাদিন ধরে বৃষ্টি লেগেই থাকে।কিছুক্ষণ পর আবারো থেমে গেল বৃষ্টি। তখন খুব তাড়াতাড়ি করে রেডি হয়ে নিয়েছিলাম বাড়ি আসবো বলে।
এরপর দুপুর দুটো নাগাদ বেরিয়ে পড়েছিলাম বাড়ি আসবো বলে । তখন আবার খুব রোদ উঠেছিল।বোন বোনের বর সকলে মিলে আমাকে রাস্তায় এগিয়ে দিয়ে গিয়েছিল। বোনেরা বিকেল বেলায় যাবে। তাই ওদের তাড়া ছিল না।এরপর টোটো ধরে চলে গিয়েছিলাম বাসস্ট্যান্ডে। বাসস্ট্যান্ডে যাওয়া মাত্রই বাস পেয়ে গিয়েছিলাম ।সাথে সাথে বাসে উঠে পড়েছিলাম। কিন্তু বাসে করে আসতে এখন ভীষণ ভয় করে। কারণ আমাদের কৃষ্ণনগর থেকে করিমপুর রোডে প্রায় দিন এক্সিডেন্ট হচ্ছে। আজকের বাসটা একদমই ফাঁকা ছিল। তাই একদম জানলার ধারে বসে পড়েছিলাম। কিন্তু গাড়িটা খানিকটা যেতেই আবারো শুরু হয়ে গিয়েছিল বাসে বাসে রেষারেষি। বাসে বসেই মনে মনে ভাবছিলাম হয়তো এইরকম করতে করতেই ধাক্কা না মেরে দেয়। যাই হোক খানিকটা দূরত্বে যাওয়ার পরে ওই বাস আমাদের বাসকে সাইড দিয়ে দিল ।তখন আমাদের বাসটা পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে এসেছিল। বেরোনোর পরেই দুই ড্রাইভার এর মধ্যে ঝগড়া ঝামেলা শুরু হয়ে গিয়েছিল। সাথে শুরু হয়ে গিয়েছিল বৃষ্টি ।তখন গাড়ির গতিটা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছিল।
তবে এই রেষারেষি করতে করতে প্রত্যেকদিন এক্সিডেন্ট শুরু হয়ে গেছে।কত মানুষের প্রাণ হারায়।আজকে ফেরার পথে যেমন ছিল মন খারাপ ।তেমনি বাসের জানালার ধারে বসে বসে বাইরে প্রকৃতি সাথে বৃষ্টি দেখতে দেখতে মহানন্দে বাড়ি ফিরে এসেছিলাম। এসে দেখি কৃষ্ণনগরে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি মাথায় বাস থেকে নেমে ছাতা নিয়ে বাড়ির দিকে যখন রওনা দিয়েছিলাম । খানিকটা ছোট মামা এগিয়ে এসেছিল আমাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য। যেহেতু প্রচুর ফুল গাছ নিয়ে এসেছিলাম ।তাই প্রথমে দিদার বাড়িতে চলে গিয়েছিলাম ।দিদাকে কয়েকটা ফুল গাছ দিয়ে ছিলাম। এবছর উল্টো রথ দেখতে পারিনি, বাড়িতে এসে দেখি দিদা আমার জন্য পাঁপড় ভাজা, জিলিপি রেখে দিয়েছিল ।সেগুলো পেয়ে আমার আজকে ভীষণ আনন্দ হয়েছিল ।
আজ এইখানেই শেষ করছি। আবার নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হব আগামীকাল।
SPOT-LIGHT TEAM: Your post has been voted on from the steemcurator07 account.
Thank you 🙏