গাছ লাগানো
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন ।আজকে আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে আশা করছি সকলেরই ভালো লাগবে।
আপনাদের মাঝে গতকালকে শেয়ার করেছিলাম বাপের বাড়ি থেকে বেশ কিছু গাছ নিয়ে এসেছিলাম বাড়িতে লাগাবো বলে। ছোট থেকেই আমি গাছ লাগাতে ভীষণ ভালোবাসি। ছোটবেলায় যখন দেখতাম পেঁয়াজ কিংবা রসুনের মাথায় অঙ্কুর বেরিয়েছে ঠিক তখনই সেগুলোকে মাটিতে পুঁতে দিতাম। দিদাদের বাড়িতে খুব একটা জায়গা ছিল না। তবুও সেগুলো একটু মাটি পেলে লাগিয়ে রাখতাম। দেখতাম পরে সেগুলো থেকে কলি বের হতো। ছোট থেকেই ভীষণ ইচ্ছে ছিল আমাদের ছোট্ট একটা জায়গা থাকবে সেখানে বিভিন্ন রকমের ফুলের গাছ লাগাবো। তাই অন্যের বাড়িতে ফুল গাছ দেখলেই সেই ফুল গাছের ডাল কেটে নিয়ে এসে বাড়িতে লাগাতে ইচ্ছে করে। এখন বর্ষাকাল তাই যে কোন গাছ লাগালে সাথে সাথে গাছের ডাল খুব সহজেই লেগে যায়। আমাদের বাগানে মাটি ভীষণ ভালো। কিন্তু মাটিতে অনেক ইট, পাথর এইসব মিশানো। বাড়িটা যেহেতু অনেকদিন পরে ছিল। তাই পাড়াতে যে যার মত ঘরবাড়ি ভেঙে সমস্ত ইট, পাথর এই জমিতে ফেলেছিল ।বহুবার সেগুলো বেচে বেচে ফেলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সব কি ফেলা যায়। কিছু মাটির নিচেও রয়ে গেছে।
চন্দ্র মল্লিকা, রজনীগন্ধা, ড্রাগন, দুই রকমের জবা,আনারস গাছ
তবুও কিন্তু এই জমিতে ভীষণ ভালো গাছ হয়। আমি যে গাছ লাগায় সেই গাছ খুব সহজেই জন্মায়। গতকালকে বাপের বাড়ি থেকে এনেছি কিছু চন্দ্র মল্লিকা ফুল গাছ আর রজনীগন্ধা সাদা জবা এছাড়াও গোলাপি পঞ্চ মুখী জবা। যে কোন ফুল আমার ভীষণ প্রিয়। ডালিয়া গাছের চারা গুলো আমাকে আমার মেজ বোনের বর দিয়েছিল। সেই সময় আমি নিয়ে আসতে পারিনি। কারণ কিছুদিন বাপের বাড়িতে ছিলাম। তাই সেই গাছগুলো বোন বাড়িতেই লাগিয়ে দিয়েছিল। ওই গাছে ভীষণ সুন্দর ফুল ফুটে আলো হয়ে থাকে। এমনকি ওই গাছ থেকে প্রচুর ডালপালা বেরিয়ে আরও অনেক গাছ জন্মেছে। আমার সাথে সাথে পাশের বাড়ির কাকিমা কিছু গাছ নিয়ে গেল। আর মেজ বোনের বর সেও দুটো গাছ তুলে নিয়ে গেল।
ছোট বোনের বর তার বাড়িতে ড্রাগন ফল গাছের ডাল আর আনারস গাছ এনে দিয়েছিল। ছোট বোনের বর অনেক ফুল -ফলের গাছ লাগাতে যেমন ভালোবাসে। তেমনি তার পরিচর্যাও করে। এই গাছ গুলো আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে কোথায় লাগাবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। কারণ এখন বর্ষাকাল সারা বাগানে জঙ্গল হয়ে গেছে। বাগান পরিষ্কার থাকলে গাছ গুলি ঠিকঠাক করে লাগানো যেত। সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে দেখলাম আকাশ বেশ পরিষ্কার হালকা রোদ উঠেছে। গাছ গুলো যখনি লাগাতে শুরু করলাম শুরু হয়ে গেল ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি ।সাথে সাথে শাশুড়ি মা বকতে শুরু করে দিয়েছিল ।বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে গাছ লাগানোর জন্য। কিন্তু আজকে আমি বৃষ্টিতে ভিজে ভিজেই সমস্ত গাছ লাগিয়ে দিয়েছি।কিন্তু এখন গাছগুলো একটা সাইডে লাগানো হলো। জানিনা পরে তুলে ফেলতে হবে কিনা। তবে অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল বাড়িতে ড্রাগন গাছ লাগানোর ।এর আগে বহুবার রজনীগন্ধা গাছ লাগিয়েছিলাম। কিন্তু বাঁচিয়ে রাখতে পারিনি। রজনীগন্ধা গাছে অনেক দিন পর ফুল ফোটে।সেই সব ইচ্ছে পূরণ হলো। গাছ গুলোই যখন ফুল ফুটবে তখন আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেব। আজকে অনেক গাছ লাগাতে পেরে আমি ভীষণ খুশি।
আজ এই পর্যন্তই। আবার নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হব আগামীকাল।