উল্টোরথের মুহুর্ত
নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি উল্টো রথের দিন আমার কাটানো কিছু মুহূর্ত ।আমি জানিয়েছিলাম রথযাত্রা উপলক্ষে অনেক অনেক তথ্য ।তার সাথে সোজা রথের দিন আমার কাটানো মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছিলাম কিছু পোস্টে ।আজকে উল্টো রথের মুহুর্ত নিয়ে পোস্ট শেয়ার করছি।
আসলে রথ সোজা রথের দিন যে দিকে মুখ করে থাকে,তার বিপরীত দিকে মুখ করে রাখা হয় উল্টো রথে। তখন সেটাকে উল্টোরথ বলা হয়। এমনকি রথের যাত্রাপথটাও প্রথম দিন সোজা যে পথে হয়েছিল ,তার উল্টোদিকে হয়ে থাকে।
এর পিছনে একটি কাহিনীও রয়েছে, পুরীতে ইন্দ্রদুম্নের রাজ্যে নাকি জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ি । তার স্ত্রী নাকি জগন্নাথ দেবের মাসি ছিলেন।সেখানে অর্থাৎ জগন্নাথ দেবের পুরীতে যাওয়াটাই হচ্ছে সোজা রথে যাওয়া। আর ফিরে আসাটাকেই উল্টোরথ বলা হয়।
উল্টো রথ আর সোজা রথের মধ্যে ৭ দিনের ব্যবধান থাকে। এবারে যেমন সোজা রথ ছিল জুন মাসের 27 তারিখে, আর উল্টো রথ হয়েছে জুলাই মাসের ৫ তারিখে।
রথের মেলার কথা আমি তো এর আগেই পোস্টে শেয়ার করেছি ।উল্টো রথের দিনও আমি আমাদের শোরুমের মধ্যে গিয়ে বসেছিলাম। সকাল থেকে পড়াশোনা করে বিকেল বেলায় সামান্য ঘুমিয়ে নিয়ে বাবার সাথে চলে গিয়েছিলাম শোরুমে তখন বাজে মোটামুটি সন্ধে ছটা। আমার আগে বিকেল অব্দি ঈশান দোকানে বসে ছিল অনেকক্ষণ। ওর স্যার আসাতে বাড়ি চলে গিয়েছিল ।
শোরুমে গিয়ে বুঝতে পারলাম উল্টো রথে ভিড় একদমই নেই ।বৃষ্টি হচ্ছিল যেহেতু সকাল থেকেই, এ কারণে ভিড়ভাট্টা কম। আমার খুব খারাপ লাগছিল যারা দোকান দিয়েছে তাদেরকে দেখে। কারণ এই দুইদিন ওরা সত্যিই ভালোভাবে ব্যবসা করতে পারে ।কিন্তু বৃষ্টির কারণে ওদের ব্যবসার ক্ষতি হয়ে গেল।।
বাবার সাথে চলে গেলাম রথের দড়ি টানতে। তারপরে প্রণাম করে মেলার দোকানগুলো দেখতে দেখতে ফিরছিলাম।বাবা বার বার জিজ্ঞেস করছিল কি খাবি।
আর আমি বাবাকে বলছিলাম এখন না আগে, শোরুমে চলো, ওখানে বসে থাকবো ,তারপরে হচ্ছে।
শোরুমে চলে আসার পর এক এক করে নিজের আবদার গুলো রাখতে শুরু করলাম। প্রথমেই খেয়ে নিলাম এক প্লেট মোমো। এক প্লেটে পাঁচটা থাকে ।আমি তিন পিস খেয়েছি ।আর বাবাকে দু পিস দিয়েছি ।বেশ দারুন করেছিল ।
আসলে বৃষ্টির মধ্যে এরকম গরম গরম মোমো খেতে বেশ ভালো লাগছিল ।তবে আমরা ভেজ মোমো খেয়েছি। এক প্লেট মোমো, কত টাকা নিয়েছিল আমার ঠিক মনে পড়ছে না, যতদূর মনে হয় চল্লিশ টাকা। মানে ভারতীয় দামে ৪ steem.
মোমো খাওয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পর পাপড় খাওয়ার আবদার করলাম ।ওরা চলে গেল আনতে। দোকানে বসে বসে এরকম ভাবে খেতে বেশ ভালই লাগে। বাবা আর দাদারা এনে এনে দিচ্ছিল। যেহেতু বৃষ্টি পড়ছিল তাই আরো বেরোচ্ছিলাম না। একটা পাপড় ৫ টাকা। মানে ০.৫ steem.
তারপর আবদার করা হলো আইসক্রিম খাবার। পিসেমশাই কে বলাতে ৩০ টাকা দিয়ে একটা আইসক্রিম এনে দিল। কিন্তু সত্যি বলতে আইসক্রিমটা একদম ভালো খেতে ছিল না।। ৩০ টাকা মানে ভারতীয় দামে ৩ steem.
এরপরে খেয়েছি দই ফুচকা। এক প্লেট দই ফুচকার দাম ৪০ টাকা নিয়েছে। ৪ steem।
এর সাথে ৩০০ গ্রাম জিলিপি। ১০০ গ্রাম জিলিপির দাম ১৫ টাকা। সেই অনুযায়ী ৪৫ টাকা নিল।অর্থাৎ ৪.৫ steem। আমি তো জিলিপি খেতে খুবই ভালোবাসি। মেলা হোক অথবা না হোক ।জিলিপির খোঁজে মাঝেমধ্যে বার হতে হয় আমাকে। যাইহোক তারপর বাদাম ভাজাও নিয়েছিলাম মায়ের জন্য। আর যেহেতু ঈশানকে ওর স্যার পড়াচ্ছিলেন।তাই ঈশান আসতে পারেনি। এ কারণে মা আর ঈশানের জন্য মোমো আর আইসক্রিমও নিয়ে গিয়েছিলাম।
বাবার সাথে উল্টো রথের মুহূর্তটা কাটাতে পেরে বেশ মজা লেগেছে। আমার নিজের পকেট থেকে এক টাকা খরচ হয়নি। বাবা সবকিছুই কিনে দিয়েছে।। ছোটবেলার মতন সময়টা লাগছিল। কারণে আরো মুহূর্তগুলোকে উপভোগ করতে পেরেছি।
যাইহোক আপনাদের সাথে উল্টোরথের মুহূর্তগুলো শেয়ার করতে পেরে ভালো লাগলো। আজকে এখানেই শেষ করছি ।সকলে ভালো থাকুন।
You have been supported by the Team 04: