আত্বীয়তা রক্ষা বাবার টাকার পরিমাপে
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আজকের পোস্টের এই টাইটেলটি দেখতে অনেকটা ধোঁয়াশা মনে হলেও কথাটা কিন্তু একেবারে চরম সত্যি কথা। এবং সেটা আমি বাস্তবতার ক্ষেত্রেও অনেক জনের ক্ষেত্রেই দেখেছি। অর্থাৎ তাই বলতে পারি যে টাইটেলের কথাটি একেবারেই সত্যি কথা।
কারণ দেখবেন যে, যে সব ছেলে মেয়েদের বাবার টাকা রয়েছে। তাদেরকে তাদের আত্মীয়-স্বজনরা একরকম ট্রিট করে আর যেসব ছেলে মেয়ের বাবার তেমন আর্থিক অবস্থা ভালো নয় তাদেরকে একরকম ভাবে দেখা হয়। অর্থাৎ যদি এই দুই ধরনের ছেলে-মেয়ে একসাথে থাকে। তাহলে আপনারা ব্যাপারটি আরো ভালোভাবে লক্ষ্য করতে পারবেন। ধরুন দুইজন কাজিনের একজনের বাবার আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। আবার এক জনের বাবার আর্থিক অবস্থা অনেক বেশি ভালো।
তখন দেখবেন যে, যে কাজিন এর বাবার আর্থিক অবস্থা অনেক বেশি ভালো এবং অনেক বেশি বিলাসিতার মধ্যে জীবন যাপন করে। এবং অভাব নামক কোনো কিছুই সে কখনোই চোখে দেখেনি। তাকে আত্মীয়-স্বজনরা সবকিছু দ্বিগুণ দ্বিগুণ করে দেয়। এবং তার আদর সমাদরে কোনোরকম ত্রুটি থাকে না।
কিন্তু যার বাবার আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয় এবং যে হয়তো খুব ভালোভাবে খাওয়া-দাওয়া করতে পারে না। অর্থাৎ মধ্যবিত্ত পরিবার কিংবা খুব কষ্ট করে জীবন যাপন করে। এবং যার জীবনে অসম্ভব রকমের অভাব রয়েছে। তাকেই দেখবেন আত্মীয় স্বজনরা এড়িয়ে চলে এবং যতটুকু না করলেই নয় একজন মানুষের জন্য ততোটুকুই শুধুমাত্র করে।
এই ব্যাপারটি শুনতে কটু লাগলেও ব্যাপারটি কিন্তু একেবারেই সঠিক। এটা আমি নিজের চোখে দেখেছি। আসলে বাস্তবতা ব্যাপারটি এতোটাই করুণ হয় যে যেটা সব সময় চোখে দেখা সম্ভব হয় না। কারণ এই যে এই ব্যাপারগুলোকে নিজের চোখে দেখা সম্ভব হয় হয় না কারণ খুব খারাপ লাগে যখন দেখি যে যার নেই, তাকে কিছুই দেওয়া হচ্ছে না। আর যার দরকার নেই, তাকেই সবকিছু দেওয়া হচ্ছে।
আসলে আমাদের সমাজে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এমনটা হয় এবং মানুষকে বিচার করা হয় তার বাবার টাকা দিয়ে অর্থাৎ অন্তত ছোটবেলায়। আর সেই ক্ষেত্রে যার বাবার টাকা যত কম। তাকে আদর, স্নেহ ঠিক ততোটাই কম করা হয়।বাস্তবতার তিক্ত একটি ব্যাপার হলো এটি। তাই আমার কাছে মনে হয় একটা মানুষের বাবা থাকার যতটা দরকার ঠিক ততটাই দরকার তার বাবার টাকা। কারণ এই সমাজে বাবার টাকা না থাকলে কেউই দাম দেয় না।
খুব সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন আপনি আপনারা লেখাগুলো পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলো, আসলে বর্তমান সমাজে সবার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে টাকার কোন বিকল্প নেই। টাকা যার কাছে থাকে না সে মানুষকে মূল্যায়ন করতে চাই না এটা আপনি সত্যি কথা বলেছেন। মানুষ যেমন হোক না কেন যার টাকা আছে তাকে সবাই যে সম্মান করে এটা হচ্ছে আজকের সমাজ। আপনি আরও একটা কথা অনেক ঠিক লিখেছেন মানুষের যেমন বাবাও দরকার যেমন টাকা দরকার তবে এই ধারণা থেকে মানুষকে বের হয়ে আসা উচিত আমি মনে করি। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ্ চমৎকার একটি পোস্ট লিখেছেন আপনি।আমিও এই ব্যাপার নিজের চোখে দেখেছি এখনো দেখি। আমার কাছে মনে হয় যারা এরকম টা করে খুব অন্যায় কাজ করে এগুলো যার সাথে করা হয় অর্থাৎ ওই বাচ্চাটা সে কিন্তু ঠিকই মনে রাখে এবং হীনমন্যতায় ভুগে থাকে।অথচ লোকজনের কিন্তু উল্টো টা করা উচিত যার বাবার আছে তাকে কম দিয়ে যার নেই তাকে বেশি দেওয়া উচিত।আর সেটা যদি সম্ভব না হয় সবাইকেই সমান দেওয়া উচিত কেউ না দেখলেও উপরে একজন আছে সে ঠিকই দেখেন।সবচেয়ে বড় কথা একজন প্রকৃত বিবেকবোধ সম্পন্ন মানুষ এটা কখনোই করবেন না ।লোকজন তেলে মাথায় তেল দেয় আরকি সমাজের নিয়ম এখন এটা।
দারুণ একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্টের কথাগুলো একেবারে সত্য। বর্তমানে আত্নীয় স্বজনরা এমনটাই করে থাকে। অর্থাৎ যার বাবার টাকা রয়েছে, তাদেরকে মাথায় তুলে রাখে। কয়েকদিন পরপর দাওয়াত দেয়। কিন্তু যার বাবার টাকা নেই, তাদেরকে মন থেকে পছন্দ করে না। কিন্তু মানুষকে কখনোই অর্থের মাপকাঠিতে বিচার করা উচিত নয়। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।